লকডাউনেও গাড়ির চাপ, টোল আদায় সোয়া কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৪৬ পিএম
সরকার ঘোষিত কড়াকড়ি লকডাউনকে উপক্ষো ও প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ঝুঁকি নিয়েই কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর থেকে রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। ফলে চাপ বেড়েছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কেও। গেল রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক ৩০ হাজারের অধিক যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় সোয়া কোটি টাকা। যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বি-গুণ। এছাড়া পণ্য-পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন, ব্যক্তিগত ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলের আধিক্য থাকলেও বিপুল সংখ্যক যাত্রাবাহী বাস পারাপার হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সেতু কর্তৃপক্ষের একাধিক সূত্র। এদিকে, মঙ্গলবার ভোর সকাল থেকেই ঘরে ফেরা মানুষের চাপে মহাসড়কে বেড়েছে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ। মালবাহী ট্রাকসহ খোলা ট্রাকে, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে গাদাগাদি করে বাড়িতে ফিরছেন যাত্রীরা। এছাড়াও ব্যক্তিগত গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ফিরছে তারা। দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধের ঘোষণা থাকলেও মানছেন না অনেক পরিবহন চালকরা। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত ভাড়ার চেয়েও আরও কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করছেন পরবিহন মালিক-শ্রমিকরা। এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান- ‘সে সমস্ত বাস মহাসড়কে আটকা পড়ে ছিলো তারা নিজ নিজ ডিপো বা টার্মিনালে পার্কিং করার জন্য যাচ্ছে। এসব বাসে কোন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না।’ তিনি আরও জানান- ‘মহাসড়ক থেকে কোন প্রকার যাত্রী যেন পরিবহন না করতে পারে সেজন্য মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। এরপরেও কিছু বাস গভীর রাতে চুরি করে চলাচল করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’ ক্যাপশন: লকডাউনকেও ব্যাপক পরিবহনের চাপ বেড়েছে। গাদাগাদি করে রাজধানী ছেড়ে মানুষ গ্রামের বাড়ি ছুটছেন। ছবিটি গত মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক থেকে তোলা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: