মামুনুলের শ্বশুরকে নোটিশ দেওয়ায় প্রাণনাঁশের হুমকি

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১০:৫৯ পিএম
হেফাজতে ইসলামের আলোচিত যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর প্রাণনাঁশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ২নং গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান শুক্রবার আলফাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ডায়ের নং- ৫৭৪। জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা ওলিয়ার রহমান ২নং গোপালপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। হেফাজতে ইসলামের রাজনীতিতে জড়িতদের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ার বিষয়টি গোপন রাখা এবং কেন তাকে দলের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে গত ১২ এপ্রিল কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। শুক্রবার সাধারণ ডায়েরিতে মোনায়েম খান উল্লেখ করে, ওলিয়ার রহমানের পরিবার বর্গ হেফাজতের সঙ্গে জড়িত থাকায় আওয়ামী লীগের কর্মপরিকল্পনা ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা থাকায় গত ১২ এপ্রিল ওলিয়ার রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশ দেওয়ার পর দিন ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ছয়টা থেকে শুরু করে সাতটার মধ্যে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ০০৩৯৩২৯১০৭৪১৮০, +৬০১১১৬৭০৪৮৪০, +৩৭০৫৭৭৯ নম্বর থেকে তাঁর ব্যক্তিগত নম্বরে কল করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জীবননাশের হুমকি দেয়। এছাড়া একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিনের মোবাইল নম্বরে +৩১৩২৬৫৫ নম্বর থেকে ফোন করে মামুনুল হক পরিচয় দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জীবননাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আইনের সাহায্য চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। গত ১২ এপ্রিল কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি মো. ওয়ালিয়ার রহমান, গোপালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। আপনার বড় জামাতা মো. হাবিবুর রহমান, মেজ জামাতা অর্থাৎ জান্নাত আরা ঝর্ণার সাবেক স্বামী মো. জাফর শহিদুল ইসলাম, সর্বাধিক সমালোচিত আপনার মেজ মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার কথিত স্বামী মো. মামুনুল হকসহ সবাই উগ্রপন্থী ইসলামী সংগঠনের (হেফাজতে ইসলাম) সঙ্গে জড়িত। আপনার মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণা অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত। এমনকি আরও জানা যায় যে, আপনার স্ত্রীও জামায়াতপন্থী।’ নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালিয়ার রহমানকে কেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার স্বপক্ষে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দেয়ার অনুরোধ করা হয়।’ আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ওয়াহিদুজ্জামান সাধারণ ডায়েরির (জিডি ) সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এব্যাপারে থানায় একটা জিডি করা হয়েছে। আমরা ব্যপারটি তদন্ত করছি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: