ককটেল হমলার ঘটনা কাদের মির্জার সাজানো নাটক: উপজেলা আ’লীগ

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ১০:৪৯ পিএম
'সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজা রামপুরে শুক্রবার রাতে যে ককটেল হমলার ঘটনা ঘটেছে তা আব্দুল কাদের মির্জার সাজানো নাটক। প্রতিপক্ষের লোকজনকে ঘায়েল করতে এ হামলার নাটক সাজানো হয়েছে।' শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন নেতারা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুর বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল সংবাদ সম্মেলনে কাদের মির্জাকে সন্ত্রাসী, মানসিক বিকারগ্রস্থ আখ্যায়িত করে তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এসময় তারা কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে শুক্রবার রাতে তাদের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানায় উপজেলা আওয়ামী লীগ। সংবাদ সম্মেলনে খিজির হায়াত খান বলেন, শুক্রবার বিকালে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ফেসবুক লাইভে এসে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ আসতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। তার এই ধৃষ্টতা ও উদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা ঐক্যবদ্ধ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ঘোষণা করছি যে, আমাদের নেতা কোম্পানীগঞ্জে যে কোন সময় আসতে পারবেন। তিনি বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে আছি এবং থাকব। যেকোন সন্ত্রাসী ও বিরোধীদলের মদদপুষ্ট ব্যক্তির হুমকি মোকাবেলা করতে আমরা প্রস্তুত আছি। অবিলম্বে সন্ত্রাসী মানসিক বিকারগ্রস্থ আব্দুল কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সেতুমন্ত্রীর ভাগ্নে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহেদুল হক কচি প্রমুখ। পরে উপজেলা আওয়ামী লগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল অভিযোগ করে বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনের মাঝামাঝি সময় পুলিশ গিয়ে বাধা দিলে সেটি পণ্ড হয়ে যায়। পুলিশ এ কাজটি ঠিক করেনি। পুলিশি বাধার মুখে তারা সংবাদ সম্মেলনটি অসমাপ্ত রেখেই চলে যেতে বাধ্য হন। এ ব্যাপারে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, করোনা মাহমারির কারণে চলমান লকডাউনে লোকসমাগম নিষিদ্ধ। স্থানীয় প্রশাসনের কোন অনুমতি না নিয়ে এধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ঠিক হয়নি। পুলিশ তাদের সংবাদ সম্মেলন পণ্ড করেনি। তারা তাদের কাজ সেরে চলে গেছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: