হত্যা মামলার আসামির বাড়ি পাহারা দিচ্ছে পুলিশ

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০৫:৪৬ এএম
শুনতে কিছুটা অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। রাজশাহীতে হত্যা মামলার তিন আসামির বাড়ি ছয়দিন ধরে পাহারা দিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর হামলার আশঙ্কায় মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকায় তিনতলা বাড়িটি পালা ক্রমে পাহারা দেয়া হচ্ছে। গত শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে এই বাড়ির ছেলে মাধব কুমার সরকারের (৩৮) ছুরিকাঘাতে আনসার বাহিনীর সদস্য মিজানুর রহমান মিজান (৩০) প্রাণ হারান। হেতেমখাঁ এলাকারই বাসিন্দা মিজান আনসার বাহিনীর হ্যান্ডবল খেলোয়াড় ছিলেন। মাধব ছিলেন তাঁর বন্ধু। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র মাধব তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর মাধবসহ আরও কয়েকজন মিজানকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক মিজানকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন মাধব পালিয়ে যান। এরপর রাতেই ক্ষুব্ধ জনতা মাধবের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেন। পুলিশ গিয়ে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর রাতেই মাধব রাতেই গ্রেপ্তার হলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। কিন্তু এখনও তাঁর বাড়িতে হামলার আশঙ্কায় পুলিশ পাহারা থাকছে। দুটি দল পালা করে পাহারা দিচ্ছে। এদিকে গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় বাড়ির সামনে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের পাহারা দিতে দেখা যায়। দুইজন পুলিশ সদস্য বাড়ির সামনে রাখা পুলিশের গাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। আর আটজন বসেছিলেন বাড়ির সামনে। এদের মধ্যে তিনজন নারী কনস্টেবল ছিলেন। দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম। সেখানে অবস্থান নেয়ার কারণ জানতে চাইলে এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা আপনিও বুঝতে পারছেন, আমরাও পারছি। কয়দিন আগে যে খুনের ঘটনা ঘটল, তাঁর জন্য বাড়িটিতে হামলার আশঙ্কা আছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়িটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে এখন পর্যন্ত।’ তিনি জানান, দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বাড়িটি পুলিশের দুটি দল পাহারা দেয়। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত একটা দল বাড়ির সামনে থাকে। আরেকটি দল দায়িত্ব পালন করে রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত। নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, মিজান হত্যা মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মাধব ছাড়া অন্য দুজন হলেন- তাঁর ভাই যাদব কুমার সরকার (৩২) ও চাচাতো ভাই মিলন কুমার সরকার (২৮)। তাঁদের তিনজনই তিনতলা ওই ভবনে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে যাদব ও মিলন বাড়িতে আসেননি। তাঁরা পলাতক। বাড়ির সামনে পুলিশ পাহারার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, এমনিতে হামলার আর কোন আশঙ্কা নেই। এলাকাটা খারাপ, তার জন্য আমাদের সতর্কতা। ওসি জানান, গ্রেপ্তার মাধবকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। তিনি মিজানকে খুনের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: