সাংবাদিক রোজিনাকে নির্যাতন করার দায়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জেবুন নেছা বেগম, সহকারী সচিব জাকিয়া পারভীন, পুলিশ সদস্য মিজানসহ নির্যাতনে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করবেন তার স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু।
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি চুরির চেষ্টা এবং মোবাইলে ছবি তোলার’ অভিযোগে গ্রেফতার দেখানোর পর সোমবার গভীর রাতে শাহবাগ থানায় এ কথা বলেন তার স্বামী। সচিবালয়ে রোজিনাকে ‘হেনস্তা করার’ ঘটনা বর্ণনা করে মিঠু বলেন, ‘আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব… আমরা কাউন্টার মামলা করবো।’
আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) তাকে সকাল ৮টার দিকে আদালতে নেওয়া হয়।
রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সকাল ৮টার দিকে রোজিনাকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।
রোজিনার বরাতে মিঠু জানান, সচিবালয়ের ওই কক্ষে সে সময় তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী ছিলেন, যারা ‘হেনস্তায়’ জড়িত।
সচিবালয়ে আটক অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় রোজিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে সাংবাদিকরা তাকে হাসপাতালে নিতে বলেছিলেন, তবে কর্মকর্তারা তাতে সাড়া দেননি।
পরে রাতে রোজিনাকে থানায় নেওয়ার পর তার ছোট বোন সাবিনা পারভীন সুমী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “ও অসুস্থ। ওর শরীর ভালো না। গায়ে জ্বর। সকালে টিকা নিয়েছে। ওর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।”
সোমবার (১৭ মে) রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী এ মামলা দায়ের করেন।
এর আগে সোমবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
উল্লেখ্য,অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য রোজিনা ইসলাম কানাডিয়ান অ্যাওয়ার্ডস ফর এক্সিলেন্স ইন বাংলাদেশি জার্নালিজম (২০১১), টিআইবির অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার (২০১৫), পিআইবি ও দুদকের উদ্যোগে দুর্নীতি প্রতিরোধে গণমাধ্যম পুরস্কার বাংলাদেশসহ (২০১৪) বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন।
পাঠকের মন্তব্য: