স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই গণপরিবহনে, ভাড়ায় অতিষ্ঠ যাত্রীরা

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২১, ০৯:৩৫ পিএম
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশে গণপরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও রাজধানীর অধিকাংশ বাসে তা দেখা যায়নি। এমনকি সেখানে ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বালাই। বরং বাসে ৬০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি হারে বর্ধিত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৮ মে) রাজধানীর চানখারপুল, গুলিস্তান, পল্টন, শনি আখড়া, কাজলা, যাত্রাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। অধিকাংশ বাসে কোন আসন ফাঁকা দেখা যায়নি। অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের বদলে দাঁড়িয়ে আবার কোনো কোনো জায়গায় ঝুলে যাত্রীরা গণপরিবহনে চলাচল করছেন। তবে ভাড়া সেই বাড়তি পরিমাণেই নেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ বাসে হ্যান্ডস্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। এমন কি অনেক ড্রাইভার ও হেল্পার মাস্ক ছাড়াই গাড়িতে অবস্থান করেছেন। আবার যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ মাস্ক না পরে গাড়িতে উঠেছেন। মো. সরোয়ার নামে এক যাত্রী বলেন, আমি গুলিস্তান থেকে কাজলায় আসছি। এখানে পূর্বের ভাড়া ১০ টাকা হলেও আমাকে ২০ টাকা দিতে হয়েছে। এমনকি পাশের সিটও ফাঁকা ছিলো না। ভাড়া কম দিতে চাইলে যাচ্ছে তাই ব্যবহার করা হচ্ছে। মো. বিপ্লব নামের এক যাত্রী বলেন, একটি আসনের পর যাত্রী বসানোর কথা কিন্তু পরিবহন মানছে না। এ ছাড়া বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে দ্বিগুণ। স্বাস্থ্যবিধি যদি না মানা হয় তবে আগের ভাড়াই নেওয়া হোক। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মো. আল আমিন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, সড়কে গাড়ি নেই, সিএনজি ভাড়াও বেশি। বাধ্য হয়েই ভিড়ের মধ্যে বাসে উঠি। সরকার অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার জন্য ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নিতে বলেছে। এখন বাস ভর্তি যাত্রী নিয়েও কেনো দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হবে? মো. মিজান নামে এক যাত্রী বলেন, বাসে সিট খালি আছে বলে আমাকে বাসে ওঠানো হয়। বাসে উঠে দেখি প্রতি আসনেই যাত্রী রয়েছে। আমাকে এক যাত্রীর পাশে বসতে বললে স্থান বলে জানতে চাই ভাড়া কত? বাস সুপারভাইজার বলে ভাড় ৭০টাকা আপনি ৬০টাকা দেবেন। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও কোন সিট ফাঁকা থাকবে না তাই বাস থেকে নেমে গেছি। তিনি বলেন, এভাবে আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবো। আমরাতো জিম্মি হয়ে গেছি। গন্তব্যে যেতে হলে অতিরিক্ত ভাড়া দিতেই হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: