কাদের মির্জার নেতৃত্বে বাদলের ওপর হামলার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২১, ০৬:১৯ পিএম
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের (৫২) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর বসুরহাটে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শনিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় বসুরহাট বাজারের বসুরহাট-দাগনভূঞা সড়কে এই ঘটনা ঘটে। বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ হামলার প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্চের বিভিন্ন ইউনিয়নে কাদের মির্জার বিরোধী মিছিল করছে বাদল অনুসারীরা। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আওয়ামী লীগ নেতা আলালসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে বসুরহাট হয়ে রওনা করে। যাত্রা পথে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে কাদের মির্জা তার ৪০-৫০জন অনুসারী নিয়ে বাজার পরিদর্শন করে আসার পথে বাদলের গাড়ির মুখোমুখি হয়। এ সময় কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল, ডাকাত মাসুদ, খান, শিহাব, সজল, আরিফ, ওয়াসিমসহ ৪০-৫০জন অনুসারী মিজানুর রহমান বাদলের গাড়ির গতিরোধ করে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মঞ্জু অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা প্রথমে তার গাড়ির পিছনে গুলি করে। এক পর্যায়ে গাড়ির গতিরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার হাত-মাথা পাটিয়ে দেয়, পা ও বুকের হাড় ভেঙে দেয় এবং কানে গুরুতর জখম করে। বাদলের সফর সঙ্গী আওয়ামী লীগ নেতা আলাল জানান, চাপরাশিরহাট বাজার থেকে সকাল ৯ টার দিকে আমরা দুই জন বসুরহাট হয়ে গাড়িতে করে ঢাকা যাচ্ছিলাম। যাত্রা পথে আমাদের গাড়িটি বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে কাদের মির্জা নেতৃত্বে তার অনুসারীরা গাড়ির গতিরোধ করে প্রথমে গাড়ির পিছনে গুলি করে। একপর্যায়ে বাদলসহ আমাকে এলাপাতাড়ি পিটিয়ে বুকের হাড়,হাত-পা ভেঙে মাথা ফাটিয়ে দেয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মো.জোবায়ের জানান, হামলায় বাদলের বুক, হাত, পা, মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুরসহ মিজানুর রহমান বাদল ও হাসিব আহসান আলালকে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এ ব্যাপরে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর বসুরহাটে আবারও উত্তেজনাসহ থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতারা আতঙ্কে রয়েছেন। যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন তারা। প্রসঙ্গত, গত পাঁচ মাস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। দু’পক্ষই নিজেদেরকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী বলে দাবি করছে। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়র আবদুল কাদের মির্জা একপক্ষের ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল অপরপক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।    

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: