লালমনিহাটে জমি বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষের একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২১, ০৬:০২ এএম
জামাল বাদশা, লালমনিরহাট থেকে: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষের ঘটনায়  সাইফুল ইসলাম  (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নারীসহ আরও ৬ জন। আহতদের মধ্যে রবিবার দিবাগত রাতে রংপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল (২৫ )  নামে এক যুবক মারা যান। নিহত সাইফুল উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের কিসামত মদাতী এলাকার সামছুল হকের ছেলে। শনিবার (১২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের কিসামত মদাতী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উপজেলার  মদাতী ইউনিয়নের কিসামত মদাতী মৌজার ১৭ শতাংশ জমি নিয়ে  দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার সামছুল হকের সঙ্গে আজগর আলী হাজীর বিরোধ চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার ১২ জুন জমি জমার বিষয়কে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সংঘর্ষে আজগর হাজীর লোকজনের লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৭ জন গুরুতর আহত হন। এসময় একটি টিনের চালায় আগুন ধরারও ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা সংঘর্ষের বিষয়টি পুলিশকে জানালে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে  ভর্তি করান। আহতদের মধ্যে সাইফুল ইসলামের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ জুন রাতে সাইফুল মারা যান। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কিসামত মদাতী এলাকার মৃত্যু মইন উদ্দিনের ছেলে সামছুল হক পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ১৭ শতক জমিতে বসত বাড়ী নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসিতেছে। উক্ত জমিতে বসতবাড়ি থাকা অবস্থায় আজগর হাজীর সাথে জমির বিষয়কে কেন্দ্র করে তার বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে উক্ত জমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে ১২ জুন আজগর হাজীর ২৪ জন ও অপরিচিত আরও ১০/১৫ জন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে লাঠি,সোটা,দা,কুড়াল এবং লোহার রড নিয়ে বসতবাড়ীর ভিতর অনাধিকার প্রবেশ করে বসতবাড়ী ভাংচুর করে অনুমান  ১লক্ষ বিশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এসময় ভাংচুুর করতে নিষেধ করলে এলোপাতাড়ি কিল,ঘুষি এবং লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং সাইফুল কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা বরাবর কোপ মারে। এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা ও থানা পুলিশ জখমীদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সংঘর্ষের বিষয় ও মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার দিন পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ঘটনার সাথে জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকী আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: