বোচাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তাছলিমা

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২১, ০৮:৪৫ পিএম
তাছলিমা, একটা সময় মারাত্মক টাইয়ফোড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর পরই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে যায়। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস স্বামীও জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। স্বামী আকিরুল ইসলাম ভিক্ষা করে কোন রকম সংসার চালান। স্বামীর কোনো ভিটেবাড়ি নেই। ৫ মেয়ে ২ ছেলে সহ মোট ৯ জন পরিবারে সদস্য নিয়ে ছোট একটি কুড়েঁঘরে থাকেন তাছলিমার পরিবার। টানাপড়নের সংসারে জায়গা নিয়ে ঘর করবে এমন সামর্থ্যও নেই তাদের। সেই তাছলিমার দুঃখ মোছন হতে যাচ্ছে। মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ২ শতক জমিসহ তিনিসহ তার দুই মেয়েকে একটি করে পাকা ঘর দেওয়া হচ্ছে। শয়নকক্ষের পাশাপাশি থাকছে রান্নাঘর ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা। তাছলিমা (৪০) দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ৫নং ছাতইল ইউনিয়নের তেতেরা গ্রামের বাসিন্দা। তাছলিমার মত নতুন করে ২য় ধাপে ১০০ জন ভূমি ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে আধাপাকা ঘর। মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে বোচাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত দৃষ্টিনন্দিত ঘরগুলো যেনো শোভা পাচ্ছে। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে গতকাল ২০ জুন রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে ঘরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। সরেজমিনে গিয়ে ৫নং ছাতইল ইউনিয়নে গিয়ে আরো অনেকের অজানা গল্পগুলো জানা যায়। উপকারভোগী তাছলিমা বলেন, আমাদের এই ছোট ঘরে থাকিবার খুব কষ্ট হচ্ছিল। একদিন ইউএনও সাহেব বাড়ী দেখে যাবার পর। ছবি, ভোটার কার্ড দেওয়া হয়। কোনদিন ধারনা করিবা পারি নাই প্রধানমন্ত্রী হামাক বাড়ী দিবে। প্রধানমন্ত্রী হামার ঘরে বাড়ী দেওয়াতে খুব খুশি হয়েছি। বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছন্দা পাল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, দেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে খুঁজে বের করে জমিসহ ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। এই উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৪৩০টি উপকারভোগী পরিবার ঘর পেয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে এবার ১০০ পরিবার ঘর পাচ্ছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০ পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২০ জুন) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ৪৫৯টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন এসব মানুষদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘করোনার কারণে আমি যেহেতু যেতে পারিনি। আমার পক্ষ থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, ডিসি এবং ইউএনও জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেবেন।’ এ ছাড়া গত বছর প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি পরিবারকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহনির্মাণ করে দিয়েছেন। তারও আগে জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে বহুতল ভবনে একটি করে ফ্ল্যাট প্রদানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত চার হাজার ৪০৯টি পরিবারকে খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: