রাঙ্গামাটিতে মাথা গুজার ঠাঁই পেল ৬২৩ পরিবার

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২১, ১০:২২ পিএম
মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ঘোষণা বাস্তবায়নে সারাদেশের ন্যায় রাঙ্গামাটিতেও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেল তাদের মাথা গুজার ঠাঁই। রবিবার (২০ জুন) সকালে রাঙ্গামাটির জিমনেশিয়াম সম্মেলন কক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬২৩ টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন,অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন,সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিল্পী রানী রায়, রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা উপমা,রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান প্রমূখ। সদর উপজেলার শিলছড়ি এলাকা থেকে ঘরের চাবি নিতে আসা শুভ দেব জানান, চাষাবাদ করে কোন রকম দিন কেটে যেতো, মাথা গুজার মতো কোন ঘরই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী থেকে ঘর উপহার পাবো এটি স্বপ্নের ছিল। এটি আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও তাঁর দীর্ঘাযু কামনা করছি। ঘরের চাবি নিতে আসা আরেক উপকারভোগী বৃষমালা চাকমা বলেন, এতদিন ধরে না ছিল কোন জায়গা আর না ছিল কোন স্থায়ী থাকার ঘর। দুই সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটছে। প্রধানমন্ত্রীর এমন উপহার পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য,রাঙ্গামাটি ১০টি উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্মিত ২৬৮টি ঘর উপকারভোগীদের মাঝে গত ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এবার দ্বিতীয় ধাপে রাঙ্গামাটিতে আরও ৬২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় ১৫৬টি, কাপ্তাই উপজেলায় ৩৫টি, রাজস্থলী উপজেলায় ১৭৭টি, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৪৫টি, লংগদু উপজেলায় ৯১টি, নানিয়ারচর উপজেলায় ০৩টি, জুরাছড়িতে ১০টি, বিলাইছড়িতে ৩৭টি এবং কাউখালীতে ৬৯টি। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা করে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: