সেতু ভাঙনে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, পাশেই বানানো হচ্ছে বেইলি ব্রিজ

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২১, ০৩:৩৪ পিএম
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের মুদিরছড়া এলাকায় খালের উপর দিয়ে বহমান জনতা বাজার-গোরকঘাটা প্রধান সড়কের সেতুটি ভেঙে গিয়েছিলো গত ২৪ মে। এরপর থেকেই এই সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন গাড়ী চালকরা। ফলে চাপা ক্ষোভের পাশাপাশি জনদূর্ভোগ পৌছেছে চরমে। পরে যদিও স্থানীয় এক সেচ্ছাসেবক অস্থায়ীভাবে মানুষ পারাপারের জন্য তৈরি করে দেন কাটের সাঁকো। সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বরত জনপ্রতিনিধি জিহাদ বিন আলী জানান, ছোট যান (সিএনজি, ইজিবাইক) চলাচলের জন্য আপাতত তৈরি করা হচ্ছে বেইলি ব্রিজ। তথ্যসুত্রে, বেইলি সেতু দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার শঙ্কা দুর করতে গেলো ২০১৬ সালের (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে কংক্রিটের সেতু নির্মাণের নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে তৎকালীন সময়ে ১৪৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের অনুমোদনও দেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা উপেক্ষা করেই মহেশখালী উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের ভাঙা সেতুর পাশেই তৈরি হচ্ছে বেইলি ব্রিজ। এতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার শঙ্কা যেমন থাকছে একইভাবে এই সড়ক দিয়ে বড় যান চলাচলেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ফলে স্থানীয়সহ এ দ্বীপে আগত ভ্রমন পিয়াসুরাও পড়তে পারেন বিপত্তিতে। স্থানীয়রা জানান, এই সড়কে আগে যে সেতু ছিলো তা দীর্ঘদিন ধরে মরণফাঁদে পরিনত ছিলো, অবশেষে কিছুদিন আগে (২৪ মে) মালবোঝাই ট্রাকসহ ভেঙে পড়ে এ সেতু। কিন্তু সেতু ভাঙনের এতোদিনেও কতৃপক্ষের কোনো সুনজর নেই। তবে আমাদের এলাকার একজন সেচ্ছাসেবক রিয়ান সিকদার অস্থায়ীভাবে মানুষ পারাপারের জন্য একটি কাটের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছেন। শুনতে পাচ্ছি এখানে বেইলি ব্রিজ নির্মান হবে। এ ব্রিজ অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ, ঝুঁকি শঙ্কা নিয়ে আমাদের পারাপার হতে হবে। বেইলি ব্রিজ নয় কংক্রিটের শক্ত সেতু নির্মাণ করে দিলে এলাকাবাসীর পাশাপাশি সকলেই উপকৃত হবে। কংক্রিটের সেতু নির্মাণের নির্দেশনা থাকলেও কেনো বেইলি ব্রিজ নির্মান করছে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, আমরা আপাতত এই বেইলি ব্রিজই নির্মান করছি। মাসখানেকের মধ্যে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হতে পারে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: