সরিষাবাড়ীতে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২১, ০৫:২৩ পিএম
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কিশোরী ধর্ষনের অভিযোগে ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শনিবার (১৯ জুন) গভীর রাতে ধনবাড়ী উপজেলার কিশামত গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে হয়েছে বলে জানাগেছে। রোববার (২০ জুন) ধর্ষণকারী জুয়েল মিয়া (৩৫) ও সহযোগী আমিনুল ইসলামকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ, মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর জবানবন্দিতে জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর নান্দিনা গ্রামের আলী আফছারের কন্যা রোকসানা মল্লিকা (১৭) পৌরসভার ধানাটা গ্রামে মনোয়ারা পারভীনের বাসায় গত ৪ বছর যাবৎ গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছে। ওই কিশোরী শনিবার সকাল আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় বাসার কাউকে না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এ ঘটনায় বাসা মালিকের পুত্র আলী আকবর সরিষাবাড়ী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন। যার নং-৮৬৫,তারিখ-১৯-০৬-২০২১ইং। কিশোরীকে বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করতে গিয়ে কিশোরীর মা রাবেয়া বেগম আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার কিশামত এলাকায় চর ভাতকুড়ায় তার অবস্থান জানতে পারেন। খবর পেয়ে ধনবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগীতায় সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের একটি দল ধনবাড়ী উপজেলার কিশামত এলাকার চর ভাতকুড়ায় আমিনুল ইসলামের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে ধর্ষণকারী জুয়েল মিয়া (৩৫) ও সহযোগী আমিনুল ইসলামসহ কিশোরীকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী থানায় আনা হয়। এ ঘটনায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৭/৯(১) ৩০ ধারায় সরিষাবাড়ী থানায় গত রোববার জুয়েল মিয়া কে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা রাবেয়া বেগম। ধর্ষনের শিকার কিশোরী বলেন, বাসার কাউকে না জানিয়ে জামালপুর যাওয়ার জন্য বাসা থেকে সি এন জি যোগে রওনা দেই। পধিমধ্যে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের করগ্রাম ব্রীজের পূর্ব দিক এলাকায় পৌছলে জামালপুর সদর উপজেলার গোপীনাথপুর (মধ্যপাড়া স্কুল মোড়ে) গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র সি এন জি চালক জুয়েল মিয়া (৩৫) আমাকে ফুসলিয়ে জোরপূর্বকভাবে অপহরণ করে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার কিশামত গ্রামের আমিনুল ইসলাম(২১) এর ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে আমাকে ধর্ষন করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আরিফুল ইসলাম জানান, ধর্ষনের শিকার কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক জুয়েল মিয়া ও ধর্ষনের সহযোগীতাকারী আমিনুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক তদন্ত আব্দুল মজিদ জানান, মামলার প্রধান আসামী ও সহযোগীতাকারীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। ধর্ষনের সহযোগীতাকারী বাকী আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: