যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা লাখ টাকা দামের ব্রাহমা জাতের ১৮টি গরু জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস। গরুগুলো সোমবার দুপুরে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে। বাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকা এবং গরুর আমদানিকারককে না পাওয়ায় এগুলো জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ আবদুস সাদেক।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে বাংলা অ্যাভিয়েশনের ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাসে জানানো হয়েছে, ১৩ মাস থেকে ৬০ মাস বয়সী ১৮টি গরু আনা হয়। তবে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গরুগুলো আসলেও সেগুলোকে নিতে আসেনি কেউ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এসে নিশ্চিত করেন গরুগুলো ব্রাহমা জাতের। গরুগুলোকে সাময়িকভাবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বিল অব এন্ট্রিতে গরুগুলোর মূল্য ধরা হয়েছে ৪০ হাজার ডলার করে। তবে কাস্টম কর্মকর্তারা ধারণা করছে গরুগুলো প্রতিটির মূল্য ১২-১৫ লাখ টাকারও বেশি। গরুগুলোর কোনও দাবিদার না পাওয়া গেলে নিলামে বিক্রি করা হবে। গরুগুলোকে সাময়িকভাবে সংরক্ষণের জন্য সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে রাখা হবে। কাস্টমস সুত্রে জানা গেছে, এই গরুগুলোর আমদানিকারকের জায়গায় মোহাম্মদপুরের ‘সাদেক এগ্রো’র নাম লেখা রয়েছে। তবে শাহজালাল বিমানবন্দরে গরুগুলো পৌঁছুলে সেগুলো কেউ নিতে আসেননি।
ব্রাহমা জাতের গরু আমদানির কথা স্বীকার করে ‘সাদিক এগ্রো লিমিটেড’র মালিক ইমরান হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, গরুগুলো সাদিক এগ্রো আমদানি করেছে। একটি কাগজ জটিলতায় গরুগুলো আটকে আছে। কাগজটি জমা দিলেই গরুগুলো কাস্টমস আমাদের বুঝিয়ে দেবে। তিনি বলেন, গরু দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চারজন লোক গিয়েছে। তাদের জায়গায় বসে আমাদের লোক গরুকে খাবার খাওয়াচ্ছে। গরুগুলো এখন সাভার ডেইরিতে আছে। সেখানে আমাদের লোকজন আছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের গরু আমদানির ঘোষণা দিয়ে ব্রাহমা জাতের ৩০টি গরু আমদানি করা আনা হলে সেগুলোও আটক করে কাস্টম হাউস। সে সময় খিলক্ষেতের ডেইরি সান প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ফার্ম ওই গরুগুলো আমদানী করেছিলো।
পাঠকের মন্তব্য: