অতিরিক্ত ভাড়ায় লকডাউনেও চলছে বরগুনার খেয়া

প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২১, ১২:৪৯ এএম
বরগুনার ১৮টি খেয়াঘাট লকডাউনে বন্ধ থাকার কথা থাকলেও চলাচল করছে খেয়া। জরুরি প্রয়োজনে পাড়াপাড়ের জন্য আসা যাত্রীদের জিম্মি করে প্রায় ছয়গুন বেনিকট থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন ইজারাদাররা। জেলা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। বরগুনা জেলা সদরের সাথে ছয়টি উপজেলার যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। এর মধ্যে শুধুমাত্র পায়রা ও বিশখালী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ১৮টি স্থানে খেয়া চলাচল করে। বরগুনা জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, জেলার ছয়টি উপজেলায় বরগুনা পুরাকাটা-আমতলী, বড়ইতলা-বাইনচটকি, গোলবুনিয়া-পঁচাকোড়ালিয়া, চালিতাতলী-বগীর হাট, আয়লা-গুলিশাখালী, ছোট লবণ গোলা-বালিয়াতলী, তালতলী-বালিয়াতলী, লতাকাটা-নকরী, নিশানবাড়িয়া-পাথরঘাটা, কালমেঘা-বান্দরগাছিয়া, কাকচিড়া-গুলিশাখালী, ফুলঝুড়ি -রামনা, বদনীখালী-বামনা, অযোদ্ধা-দক্ষিণ কালিকাবাড়ি, বেতাগীর সৌলজালিয়া ও বেতাগি কচুয়া খেয়াঘাট এই ১৮টি পয়েন্টে খেয়াঘাট রয়েছে। এর মধ্যে এ বি ও সি তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর খেয়ার ইজারা দেয়া হয়। পুরাকাটা-আমতলী, গোললবুনিয়া-পঁচাকোড়ালিয়া, চালিতাতলি-বগীরহাট, আয়লা-গুলিশাখালী, ছোটলবনগোলা-বালিয়াতলী, তালতলী-বালিয়াতলী, লতাকাটা-বাইনসমের্ত-নকড়ি, নিশানবাড়িয়া-পাথরঘাটা, কালমেঘা-বান্দরগাছিয়া, কাকচিড়া-গুলিশাখালী, বড়ইতলা-বাইনচটকি, ফুলঝুড়ি-রামনা স্লুইজ, বামনা-বদনিখালী, অযোধ্যা-দক্ষিন কালিকাবাড়ি এই ১৪টি খেয়া প্রথম শ্রেণির। যার সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ১৫ টাকা। এছাড়া পোটখালী-ফুলঝুড়ি সড়ক, ঢলুয়া স্লুইজ-খেয়াঘাট, পোটকাখালী বাজার-কুমড়াখালী এই তিনটি স্থানে ভাড়া পাঁচ টাকা। ইজারার শর্তমতে ভোর পাঁচটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত এই রেটে ভাড়া আদায় করতে হবে এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে তার ইজারা বাতিল করার কথাও শর্তে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রথম শ্রেণির প্রায় সবগুলো খেয়াঘাটেই সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে অতিরিক্ত ভাড়ায় যাত্রী পারাপার করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেয়া বরইতলা-বাইনচটকি, পুরাকাটা-আমতলী, নিশানবাড়িয়া-পাথরঘাটা, চালিতাতলী-বগী ও ফুলঝুড়ি-বদনীখালী বরগুনা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: