শেরপুরে র্যাবের পৃথক অভিযানে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহসিনা হোসেন তুষির আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার চকশাহাব্দী গ্রামের আমিনুল হকের ছেলে মো. চাঁন মিয়া (৫০) ও ইলশা গ্রামের মহুর উদ্দিনের ছেলে মো. রুপচাঁন মিয়া (৩০) এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে শেখ ফরিদ (২৪)। অভিযানে তাদের নিকট থেকে হেরোইন, গাঁজা ও বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৪ এর পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা মাদক ব্যবসা করে আসছেন-এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে র্যাব-১৪, জামালপুরের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামানের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা সদর উপজেলার চকশাহাব্দী গ্রামে অভিযান চালিয়ে মো. চাঁন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তার নিকট থেকে চার গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হেরোইনের আনুমানিক মূল্য ২০ হাজার টাকা।
এদিকে, র্যাব সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার চরখারচর পশ্চিমপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাদক বেচাকেনার সময় মো. রূপচাঁন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তার নিকট থেকে ১ দশমিক ৪৫ গ্রাম হেরোইন, ৩৯ গ্রাম গাঁজা, নগদ ৯ হাজার ৬৩০ টাকা ও সীমকার্ডসহ একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১২ হাজার ২৫০ টাকা।
অপরদিকে, র্যাব-১৪ সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী মিশন বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শেখ ফরিদ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তার নিকট থেকে ২৬ বোতল বিদেশী মদ, নগদ ৩ হাজার ৩০০ টাকা ও সীমকার্ডসহ একটি মুঠোফোন সেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা বিদেশী মদের আনুমানিক মূল্য ২৬ হাজার টাকা।
অভিযানকালে র্যাব-১৪ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানাসহ র্যাব সদস্যরা অংশ গ্রহণ করেন। র্যাব-১৪, জামালপুরের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক মামলা করা হয়েছে। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেছেন।
পাঠকের মন্তব্য: