অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২১, ০২:২৭ এএম
পঞ্চগড়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ ও একই সময় স্বামীকে বলাৎকার করে মোবাইল ফোনে ছবি তোলার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পঞ্চগড় সদর থানা  পুলিশ। গত রোববার (১১ জুলাই) দিনগত গভীর রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় জনতা অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশে খবর দিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে । বর্তমানে সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে চার যুবক। আটককৃতরা হলেন, জগদল দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে ধর্ষক জয়নুল হক (২৫)। অপরদিকে ওই গৃহবধূর স্বামীকে বলাৎকারী একই এলাকার এন্তাজুল এর ছেলে রণী ইসলাম (২৪), একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে নুর হোসেন (২১), আব্দুল মালেকের ছেলে শাহিন হোসেন (২১)। সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। অপরদিকে ধর্ষণের শিকার ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, রোববার দিনগত গভীর রাত চা বাগানের চা পাতা কাটার জন্য ওই গৃহবধূর স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায় এই চারজন। একসময় চা বাগানের কাছে গেলে এই চার আসামি তার পরনের লুঙ্গি সহ জামা খুলে নেয়। একসময় মোবাইল ফোনে ছবি তুলে সেটি এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামি রনি, নূর ও শাহীন তাকে ভয় দেখিয়ে বলাৎকার করে। অপরদিকে, এই সুযোগে ধর্ষক জয়নুল বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। সোমবার  সকালে পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করলে বাড়ি থেকে বেশকিছু দূরে দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় স্বামী তার পরিবারে সদস্যদের বলাৎকার ও তার স্ত্রীকে ধর্ষনের বিষয়টি জানিয়ে দেয়। অপরদিকে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ বাড়িতে তাকে ধর্ষনের  বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে জানিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই ৪ জনকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাছ আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ওই চারজনের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগী স্বামী ও স্ত্রী বাদী হয়ে পঞ্চগড়  সদর থানায় মামলা দুটি মামলা  দায়ের করেছে।  ৩ জনের নামে পর্নোগ্রাফি আইনে ও ১ জনের নামে নারী শিশু নির্যাতন আইনে (ধর্ষণ) দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কি না? এসব বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: