এবারও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত হবে না

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২১, ০৭:১৭ এএম
এবারও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে না। বুধবার (১৪ জুলাই) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। করোনার কারণে গত বছরেও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত বাতিল করা হয়েছিল। তিনি বলেন, করোনার কারণে জনসমাগম এড়াতে এবছর জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতের বাতিল করেছি আমরা। এছাড়া এলাকাভিত্তিক ছোট ছোট জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনা সংক্রমণের কথা চিন্তা করে আমরা সেটাও নিরুৎসাহিত করছি। গত বছরেও করোনা সংক্রমণের কারণে ঈদের জামাত জাতীয় ঈদগাহে হয়নি। এবার সেই ধারাবাহিকতা রয়েই যাচ্ছে। উল্লেখ্য জামাত বাতিল হওয়ায় ডিএসসিসির প্রায় এক কোটি টাকার মতো ব্যয় বেঁচে যাবে। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে যথোপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদুল আজহার জামাত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে- ক. করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে যথোপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঈদুল আজহার জামায়াত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। খ. মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। গ. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদ/ঈদগাহে আসতে হবে। ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। ঘ. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মসজিদ/ঈদগাহে ওজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। ঙ. মসজিদ/ঈদগাহের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে। চ. ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ছ. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর দাঁড়াতে হবে। জ. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হলো। ঝ. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। ঞ. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঈদের জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে। ট. করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ হতে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং আমাদের কৃত অন্যায়-অপরাধের জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ঠ. খতিব, ইমাম, মসজিদ/ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: