করোনা উপেক্ষা করে নওগাঁয় হাট-বাজারে মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২১, ০২:১৫ এএম
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে নওগাঁর পত্নীতলায় জমজমাট হয়ে উঠছে বিপনি বিতান সহ হাটবাজার গুলো। করোনা ভাইরাস রোধে নানা শর্তে মার্কেট খোলার অনুমতি দিলেও স্বাস্থ্য বিধি মানছে না কেউই। করোনা ভীতি উপেক্ষা করে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে মার্কেট, বিপনি বিতান সহ হাটবাজার গুলোতে। অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। আর থাকলেও তা থুতনিতে বা কানে ঝুলছে। এদিকে পশুর হাট গুলোতে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হচ্ছে। আর শেষ মুহুর্তে এসব পশুর হাটে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব। ফলে ঈদের পরে এ এলাকায় করোনা সংক্রমন বাড়ার আশঙ্কা করছে অভিজ্ঞ মহল। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এবং স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানতে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসায়িক সমিতি সোচ্চার থাকলেও দোকানে আগত ক্রেতারা মানছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। মার্কেট বা বিপনীবিতান গুলো খুলতে সরকারের নির্দেশনায় বলা হয়, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাটে যাতায়াত করতে হবে। কিন্তু ঈদ আনন্দে কেনাকাটার তোড়জোড় বাড়ায় উধাও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে বিভিন্ন মার্কেটসহ দোকান গুলোতে চলছে কেনাকাটা। মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই বিপনি বিতান গুলোতে। কোরবানী ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে বিপনী বিতান গুলো সহ গরুর হাট বাজার গুলোতে উপচে পড়া ভিড় ততই বাড়ছে। সোমবার উপজেলা বিভিন্ন হাটবাজার গুলো ঘুরে দেখা যায়, নানা বয়সী ক্রেতাদের ভিড়। পা ফেলার মতো জায়গা কোথাও নেই। কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। সঙ্গে রয়েছে শিশু-কিশোররাও। ক্রেতারা একে অন্যের গায়ের সঙ্গে গা ঘেঁষে কাপড়, কসমেটিকস্, জুতা সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনাকাটা করছেন। অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। আর থাকলেও তা থুতনিতে বা কানে ঝুলছে। হাট বাজার সহ রাস্তার ফুটপাতে বসা দোকানে নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ কেনাকাটা করছে। সেখানেও রয়েছে নানা বয়সি ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। একই চিত্র দেখা গেছে, বাসস্ট্যান্ড এলাকার বঙ্গবাজারের কাপড়ের দোকান, কসমেটিকস ও জুতার দোকান গুলোতে। পাশাপশি মুদিখানা দোকান গুলোতেও মাংষের মশলা, তেল, চিনি, সেমাই সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এদিকে পশুর হাট গুলোতে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হচ্ছে। আর শেষ মুহুর্তে এসব পশুর হাটে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব। সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট পরিচালনা করার নির্দেশ থাকলেও পশুর হাটে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব। অনেকের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক। যদিও হাট গুলোতে ইজারাদার ও তাদের লোকজন মাইকিং করে ঘোষণা দিচ্ছেন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা বেচা করতে। তবুও সেদিকে কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। হাটে আসা অধিকাংশ মানুষেরই মুখে নেই মাস্ক। মানছেন না সামাজিক দূরত্বও। ফলে ঈদের পরে এ উপজেলায় করোনা সংক্রমন বাড়ার আশঙ্কা করছে অভিজ্ঞ মহল। এসব পশুর হাটের আশেপাশে বসবাসরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, পশুহাটের যে ভয়াবহ চিত্র দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে নতুন করে আবারও করোনা সংক্রমণ ছড়াবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, দেশ এখন ক্রান্তিকাল সময় পার করছে। এই মূহুর্তে মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে ঈদ পরবর্তী সময়ে আরও বড় ধরনের মৃত্যুর মিছিল দেখতে হতে পারে। সে জন্য হাট বাজার বিশেষ করে বর্তমানে পশু হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি শতভাগ মাস্ক পরিধান করা জরুরি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিটন সরকার জানান, সরকারি বিধি নিষেধ মেনে মার্কেট খুলতে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। কেউ তা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, পত্নীতলা উপজেলায় এবারও পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: