দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি

প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২১, ০৬:৩০ পিএম
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকার বিভিন্ন সড়ক, অলি-গলিতে চলছে পশু কোরবানি। বুধবার (২১ জুলাই) ঈদের দিনে কোরবানি বেশি হলেও আজ বৃহস্পতিবারেও সংখ্যায় তা একেবারে কম ছিল না। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লায় পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে। ত্যাগের মহিমা এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কেউ একাধিক কোরবানিও দিচ্ছেন। লালবাগ আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আল ইমাম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সাতটি গরু জবাই করেছেন তিনি। ঈদের দিন ১০টি গরু জবাই করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য বছর তৃতীয় দিনেও কোরবানি হয়। তবে এবছর কেমন হবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। কোরবানির ঈদে এলাকা ঘুরে ঘুরে ধর্মীয় আচার মেনে গরু-ছাগল জবাই করেন আল ইমামের মতো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি গরু জবাই করে কত টাকা পান- জানতে চাইলে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বলেন, 'কেউ চামড়া দেয়, কেউ টাকা দেয়। এটা নির্দিষ্ট না।' এদিকে রহমত উল্লাহ নামে এক কসাই বলেন, 'আজ (বৃহস্পতিবার) সাতটি গরু তৈরির কথা রয়েছে। চারজনের দল নিয়ে ইতোমধ্যে দুটির কাজ শেষ করেছি।' সোহাগ নামের এক কসাই জানান, 'ঈদের দিন ৫টি গরুর কোরবানির কাজ করেছি। আজও তিনটির কাজ করব। এর মধ্যে একটার কাজ শেষ হয়েছে। এখন একটা বানানোর কাজ চলছে।' মুগদায় ইমাম হাজান নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র জানান, ঈদের দিন ১৪টি গরু জবাই করেছেন। আজকে (ঈদের দ্বিতীয় দিন) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৫টি গরু জবাই করেছেন। ঈদের দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি দিচ্ছেন আব্দুল রাশেদ। তিনি জানান, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য তিনটি গরু কোরবানি দেওয়া। ঈদের দিন একটি কোরবানি দিয়েছি। আজকে একটি দিচ্ছি, কাল আরেকটি কোরবানি দেব। দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাদের কোরবানি কবুল করেন। এদিকে আজিমপুরের গাড়ি ব্যবসায়ী অপু জানান, প্রতি বছর তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ঈদের পরদিন কোরবানি দেন। তিনি বলেন, ঈদের দিন নামাজের পর কবরস্থানে যাই। তারপর বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় যাই, অনেক স্বজন বাসায় আসেন। তাই ঈদের দিন আর কোরবানি দেওয়া হয় না। ছোট বেলা থেকেই ঈদের দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দেওয়ার অভ্যাস আর যায় কী করে!'

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: