পঞ্চগড়ে এক দম্পতিকে একঘরে রাখার ঘটনায় পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০২১, ০১:৪৮ পিএম
পঞ্চগড়ে স্ত্রীকে মৌখিক তালাক দেওয়ার জের ধরে এক দম্পতিকে একঘরে রাখার  ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পঞ্চগড়। পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মতিউর রহমান মিস কেসের মাধ্যমে জেলার দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে। গত ১১ আগষ্ট মিস কেস দায়ের করা হয়। পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মতিউর রহমান দি কোট অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর ১৯১ (১)  সি ধারার বিধান মতে বিষয়টিকে আমলে নেন। গত ১১ আগস্ট ওই আদালতে মিস কেস দায়ের করা হয়। যার নং ০৪/২০২১। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ আগস্ট ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ একাধিক অনলাইন পত্রিকায় মৌখিক তালাকের জের ধরে সমাজপতিরা দরিদ্র এক দম্পতিকে এক ঘরে করে রেখেছে শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমলে গ্রহণ করেন। অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে আগামী ২২ আগস্ট ওই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্র্প্তা কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের আদেশ নামায় বলা হয়েছে, উপরোক্ত সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। মুসলিম বিবাহ ও তালাক সম্পাদিত হয় মুসলিম শরিয়াহ আইনের নির্ধারিত বিধিবিধানের আলোকে। শরিয়াহ আইনের মূল ভিত্তিহলো পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিস। কোরআন ও সহিহ হাদিসের নির্ধারিত বিধি বিধানের আলোকে একজন মুৃসলিম এক বৈঠকে বা একসাথে একাধিকবার তালাক শব্দটি উচ্চারণ করলেও তা এক তালাক হিসেবে গণ্য হবে। কখনো তিন তালাক হবে না। এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর পুনরায় আপোষ সমঝোতায় পুনরায় বিবাহ ছাড়াই সংসার করতে বাধা থাকবে না। অথচ আলোচ্য ঘটনায় দেখা যাচ্ছে যে, দেবীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের ছলিমনগর গ্রামের স্থানীয় সমাজপতি ও ধর্মীয় নেতারা মনগড়া ফতোয়া জারি করে সম্পুর্ণ অন্যায়ভাবে ছলিমনগর গ্রামের আয়নাল হক ও জমিরন বেগম দম্পতিকে চার মাস যাবত একঘরে করে রেখেছে। বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী যা অসিদ্ধ ও গুরুত¦র অপরাধ। দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনও হাতে কোন কাগজ পাইনি। নির্দেশনা পেলে নির্দিষ্ট সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: