পিংক বড় জাতের ড্রাগন চাষে মুসার অভাবনীয় সাফল্য

প্রকাশিত: ১৯ আগষ্ট ২০২১, ১১:২৭ পিএম
দেশি বিদেশি বিভিন্ন ফলের আবাদ করে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন হারুন অর রশীদ মুসা। ত্বীন,অ্যাভোকাডো ফলের পর এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন পিংক রোজ বড় জাতের ড্রাগন ফলের। যে ফলের এক একটির ওজন ৫শ থেকে ৮শ গ্রাম। চারা, সেচ,সার, কীটনাশক পরিচর্যাসহ ৫ বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। চলতি বছর তিনি এই ৫ বিঘা জমিতে পিংক রোজ ড্রাগনের আবাদ করে ১০ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন। কৃষিতে এলাকাবাসীর কাছে মুসা এখন উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। হারুনুর রশীদ মুসা ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারী গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। হারুনুর রশীদ মুসা জানান, তিনি প্রায় ১৬ বছর আগে আপেল কুলের আবাদ করেন। এরপর পেয়ারা মাল্টাসহ অন্যান্য ফলের আবাদও করেছেন। গত ৫ বছর আগ থেকে ড্রাগন ফলের আবাদ শুরু করেন। এছাড়া তিনি অ্যাভোকাডো ফলেরও আবাদ করেছেন। বর্তমানে তার ১১ বিঘা জমিতে ড্রাগনের আবাদ রয়েছেন। এরমধ্যে পিংক বড় জাতের ড্রাগনের আবাদ রয়েছে ৫ বিঘা জমিতে। তিনি আরো জানান, একবিঘা জমিতে চারাসহ তার খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। চারা লাগানোর ৬ মাস পর ফল পাওয়া যায়। ড্রাগন গাছ একবার লাগালে ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচে। তিনি আরো জানান, বাজারে অন্যান্য ড্রাগনের ফল যখন বিক্রি শেষ হয়ে যায় তখন পিংক রোজ ড্রাগন ফল উঠে। অর্থাৎ পিংক বড় জাতের ড্রাগন ফল একটু দেরিতে উঠে। যে সময় বাজারে ড্রাগন ফল খুবই কম থাকে। যার কারনে দামও ভাল পাওয়া যায়। করোনাকালীন সময়ে ড্রাগনের ফলের বাজার মন্দা গেলেও তিনি পিংক রোজ বড় জাতের ড্রাগন ফল ২৫০ থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি করেছেন। এখন প্রতিদিনই তিনি বাগান থেকে পিংকরোজ ড্রাগন ফল তুলছেন। বাগান থেকে ক্যারেটে করে ফল ভর্তি করে পাঠাচ্ছেন ঢাকার ওয়াচঘাটে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষি কাজে গবেষণায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা তার বাগান পরিদর্শন করতে আসছেন। কাগমারী গ্রামের ইসমাইল হোসেন সিরাজী জানান,হারুনুর রশীদ মুসা পেশায় একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফলের আবাদ করে একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। নতুন নতুন ফলের আবাদ করে তিনি কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। এখন তিনি অন্যান্য কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। অনেকেই তার কাছে কৃষি পরামর্শসহ চারা কিনতে আসছেন। কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসিন আলী জানান, হারুনুর রশীদ একজন ইনোভেটিভ কৃষক। তার বাগানে শুধু ড্রাগন নয়। মাল্টা, অ্যাভোকাডো, ত্বীনসহ বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ফলের আবাদ রয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা তাকে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছি। আমি নিজেই তার প্রতিটি বাগান পরিদর্শন করেছি। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে তাকে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণেও পাঠানো হয়। মুসার মত কৃষি উদ্যোক্তারা দেশের কৃষি ক্ষেত্রে দারুন অবদান রাখছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: