ওবায়দুল কাদের কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলেন: কাদের মির্জা

প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৫৮ এএম
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ‘কথায় কথায় মিথ্যা বলেন’ বলে অভিযোগ করেছেন তারই ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের কথায় কথায় কসম কাটে আর মিথ্যা কথা বলে।’ নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ারকে নিয়েও অভিযোগ করেছেন কাদের মির্জা। তিনি বলেন, ‘নোয়াখালীর এসপি ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ঢাকা ও নোয়াখালী পুলিশ লাইনে ছিল। এ অযোগ্যদের ষড়যন্ত্র করে নোয়াখালী ও কোম্পানীগঞ্জে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ শুক্রবার বিকেলে বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে তার অনুসারী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সভাবেশে এসব কথা বলেন। এর আগে বৃস্পতিবার রাতে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বাদলকে একই ইউনিয়নের বিজয় নগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে নোয়াখালী ডিবি পুলিশ। বাদল ‘কাদের মির্জা সমর্থক’ বলে জানান আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এরপর শুক্রবার সকালে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান আরিফকে সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা গ্রামের সাহেবের বোনের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। দুপুরে আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার। সমর্থকদের গ্রেপ্তারে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে কাদের মির্জা বলেন, ‘এসপিকে ষড়যন্ত্র করে নোয়াখালী জেলাতে পাঠিয়েছে, আমার কর্মীদের নির্মূল করার জন্য। বাদলের গায়ে যদি একটু আঁচড় লাগে তাহলে পরিণতি অত্যান্ত ভয়াবহ হবে। এসপি তুমি বেশি বাড়াবাড়ি করতেছ। কাল রাতে (বুধবার) আমার সাথে তুমি খুব খারাপ ব্যবহার করেছ। তুমি এসপি, আমি ডিএস সমমর্যাদার প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মেয়র। কাকে ভয় দেখাও, আবদুল কাদের মির্জাকে?’ এসপি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি নোয়াখালীতে কোনো অপকর্ম করবে না। আমাদের কাছে অস্ত্র নেই। কিন্তু কিল আছে, লাঠি আছে। কাকে ভয় দেখাছ। তোর কত বড় সাহস। কোম্পানীগঞ্জে তোর ওসিকে দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছ। এ সাহস তোমাকে কে দিয়েছে? ওবায়দুল কাদের?’ নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে একরাম চৌধুরীর টাকা দিয়ে ইউএনও, এসিল্যান্ড নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে লুটপাট করছে। দেখার কেউ নেই। কাকে বলব, কে শুনবে? কি চলছে এগুলো?’'

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: