বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক নির্মাণে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৩৩ পিএম
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক নির্মাণে বিরোধিতাকারীদের অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ। আজ বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১১ টায় উপজেলা শহরের নিউ মার্কেট ও বিজিবি ক্যাম্প চত্বর এলাকায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ সাজু ও সাধারণ সম্পাদক শেখরুল ইসলামের পরিচালনায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা, জেলা পরিষদ সদস্য বদরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ও ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম কাজল, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম তারা মিয়া, জায়ফরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির দারা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন সাবেল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বল। এছাড়াও উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ মানুষরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক নির্মাণ হলে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের দরবারে এ উপজেলা পরিচিতি লাভ করবে। পাশাপাশি লাঠিটিলা বনটি দখলমুক্ত এবং অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে। যারা এই সাফারি পার্কের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। এতে জুড়ী উপজেলার ৬৫টি সংগঠনের প্রায় ৪ হাজার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেছে। উল্লেখ্য, ডুলাহাজারা ও গাজীপুরের পর জুড়ীর লাঠিটিলায় ৯৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক। বর্তমানে ২০৯ প্রজাতির প্রাণী এবং ৬০৩ ধরনের প্রজাতির উদ্ভিদ সম্পন্ন প্রস্তাবিত এলাকায় সাফারি পার্ক স্থাপিত হলে এখানে আরও অধিক প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর সম্মিলন ঘটানো হবে। লাঠিটিলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৫ হাজার ৬৩১ একর বনভূমির উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে ইকোভিলেজ, জঙ্গল সাফারি ও কোর সাফারি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কোর সাফারি এলাকায় বাঘ, সিংহ, চিতা, হায়েনা, সরীসৃপ ও গন্ডার সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর জন্য সাফারি গড়ে তোলার প্রস্তাবনা আছে। সাফারি পার্ক ছাড়া বাকি এলাকাগুলো থাকবে বন্যপ্রাণীর জন্য সংরক্ষিত, সেখানে কোন ভাবে বন্যপ্রানীদের সংরক্ষণে প্রতিবন্ধকতা করা যাবে না এবং বন বনের মতো থাকবে। এখানে বন্যপ্রাণীর জন্য মুক্ত আবাস্থল থাকবে এটাকে প্রটেক্টেড এরিয়া হিসেবে আলাদা করে রাখা হবে, যাতে বন্যপ্রাণীর কোন রকমের ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে বন বিভাগ থেকে ব্যাবস্তা করা হবে। এছাড়াও এখানে শিশুদের জন্য আলাদা পার্ক স্থাপনসহ শিশুদের খেলাধুলা ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য ব্যবস্থা থাকবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: