ভয়ংকর বা দুঃস্বপ্ন দেখলে যা করণীয়, জেনে নিন

প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:০২ এএম
ঘুমের মধ্যে আমরা অনেক সময় নানা ধরণের ভাল-মন্দ বা অনেক বাজে স্বপ্নসহ দুঃস্বপ্ন দেখি। কেউ যদি রাতে ভয়ংকর বা দুঃস্বপ্ন দেখে সাধারণত মানুষ পেরেশান বা হাঁপিয়ে ওঠে। চরম ভয় পায়। রাতের ওই সময়টি অস্থিরতায় কাটে। শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। সর্বেপরি প্রচণ্ড ভয়ে ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমাদের করণীয় কী? এ সম্পর্কে কী বলেছেন বিশ্ব নবী। আসুন দ্রুত জেনে নেই- হাদিসের পরিভাষায় অকল্যাণকর স্বপ্নকে হুলুম বলা হয়। এ হুলুম বা ভয়ংকর স্বপ্ন মূলত শয়তানের কাজ। ভয় দেখানো ছাড়াও ঘুমের মধ্যে অ-কল্যাণ করার জন্যই শয়তান ভয়ংকর স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন নিয়ে মানুষের কাছে উপস্থিত হয়। দুঃস্বপ্ন যে শয়তানের পক্ষ থেকে আসে, এ সম্পর্কে হাদিসে পাকে এসেছে- এ নিয়ে হজরত কাতাদাহ রাদিয়াহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ভালো স্বপ্ন হচ্ছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আর হুলুম বা খারাপ স্বপ্ন হচ্ছে শয়তানের পক্ষ থেকে।’ (বুখারি ও মুসলিম) সুতরাং কেউ যদি রাতে এ ভয়ংকর বা দুঃস্বপ্ন দেখে থাকে। যে স্বপ্নে মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড ভয়ের সৃষ্টি হয়। সে স্বপ্ন পরবর্তী করণীয় সম্পর্কেও রয়েছে হাদিসের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। তা হলো- ১. হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যদি রাতে এমন কোনো স্বপ্ন দেখে; যা সে অপছন্দ করে (যা খুবই ভয়ংকর)। সে যেন তার বাম দিকে ৩ বার থুথু ফেলে। আর সে যেন ৩ বার আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে। আর (স্বপ্ন দেখাকালীন) যে কাত বা পাশ হয়ে ঘুমে ছিল; সে যেন পাশ পরিবর্তন করে অন্য পাশ বা কাত হয়ে ঘুমায়।’ (মুসলিম) ২. অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কেউ যদি রাতে খারাপ বা ভয়ংকর স্বপ্ন দেখে থাকে তবে সে যেন তার বিছানা পরিবর্তন করে নেয়। (অর্থাৎ কেউ যদি ডান দিকে শোয়া অবস্থায় স্বপ্ন দেখে তবে সে বাম দিকে ঘুরে শোবে। বা বাম দিকে শোয়া থাকলে ডান দিকে ঘুরে ঘুরে শোবে।) আর বাম দিকে ৩ বার থুথু ফেলে। সে যেন স্বপ্নের ভালো দিক আল্লাহর কাছে কামনা করে। আর মন্দ দিক থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়।’ (ইবনে মাজাহ)।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: