ভ্রমণ পিপাসুদের মুগ্ধ করছে রাঙ্গামাটির “কলাবাগান” ঝর্ণা

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৪৩ পিএম
বর্ষায় নতুন রুপে সেজেছে রাঙ্গামাটির ছোট বড় ঝিরি-ঝর্ণাগুলো। পাহাড়ের বুকে ঠান্ডা পানির শীতল ধারা মুগ্ধ করে ভ্রমণ পিপাসুদের হৃদয়ে। তাই বর্ষার দিনগুলোতে ভ্রমণ পিপাসুদের প্রথম পছন্দ পাহাড়ী ঝিরি-ঝর্ণা। পাহাড়ের বুকে রূপ ছড়ানো ঝর্ণাগুলোর মধ্যে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ঝর্ণাটি অন্যতম। যা সবার কাছে ‘কলাবাগান’ ঝর্ণা নামে পরিচিত। প্রতিদিনই রাঙ্গামাটি ও এর আশে-পাশের জেলাও উপজেলাগুলো থেকে ঝর্ণায় ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। প্রচুর ট্রেইল আর আডভেঞ্জার হওয়ায় দর্শনাথীদের অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকার একটি চায়ের দোকানেরবাঁ-পাশ ঘেঁষে ঝর্ণায় পৌছানোর রাস্তা শুরু হয়। পরিষ্কার পানির প্রবাহের সাথে ছোট ছোট অসংখ্য নুড়ি পাথরের উপর দিয়ে হেঁটে এগিয়ে যেতে হয় সবচেয়ে বড়ঝর্ণাটির দিকে। যাওয়ার পথে চারদিকে দেখা মিলবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাহাড়ি ছড়া, আরো কিছু ঝর্ণা, পাহাড় এবং সবুজে ঢাকা প্রকৃতির। কিছু পথ পাড়ি দেওয়ার পরই রয়েছে পিচ্ছিল ছড়া। পিচ্ছিল ছড়া সাথে পানি প্রবাহ অতিক্রম করেই কয়েক ধাপ পর হওয়ার পর দেখা মিলবে সবচেয়ে বড় ঝর্ণাটির। সমতল থেকে বড় ঝর্ণাটি অন্তত দেড় থেকে দু’শ ফিট উঁচু হবে। চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী আমান বলেন, ঝর্ণাটির দিকে তাকালেই দু’চোখ এবং মন জুড়িয়ে যায়। চারদিকে সবুজের সমারোহ ঝর্ণাটিকে যেন ঘিরে রেখেছে। ঝর্ণাটিতে আসার সময় আরো চারটি প্রাকৃতিক ঝর্ণার দেখাও মিলেছে যা পর্যটন ভ্রমণের আনন্দকে আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। রাঙ্গামাটি শহর থেকে ঘুরতে আসা সিয়াম বলেন, মনোমুগ্ধকর ঝর্ণাটি দর্শনাথী ও ভ্রমণ প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু এ ঝর্ণাকে ঘিরে এখনো কোন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। সুযোগ-সুবিধারো ভালো ব্যবস্থা নেই। এটি অনেক রিস্কি। খাগড়াছড়ি থেকে আসা তাসপিয়া বলে, ঝর্ণাটি অত্যন্ত সুন্দর এবং বিশাল। তবে ঝর্ণা স্থলে পৌছাতে হলে পানির স্রোতে পা পিছলে পড়ারও সম্ভবনা রয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এখানে কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা নাই। এখানে আসলেই কেমন যেন এক অজানা এক ভয় বিরাজ করে মনে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। পর্যটকরা বলছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এ ঝর্ণাটি রক্ষণাবেক্ষণ, ভালো রাস্তা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা গেলে এটিকে ঘিরে গড়ে উঠতে পারে রাঙ্গামাটির অন্যতম একটি নান্দনিক সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র। যেভাবে যাবেন: রাঙ্গামাটি শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে যেতে পারবেন ঝর্ণাটিতে। ভাড়া পড়বে ২০০-২৫০ টাকা। আবার চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটিগামী যেকোন বাসে করে চলে আসতে পারেন ঘাগড়া ইউনিয়নের কলাবাগান ঝর্ণায়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: