এক স্কুলের শিক্ষার্থী অন্য স্কুলে রেজিস্ট্রেশন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৫৬ পিএম
বিনা অনুমতিতে অন্য স্কুলে শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন এবং জালিয়াতি করে অন্য স্কুলের প্যাডে প্রশংসাপত্র প্রদানের অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানব-বন্ধন করেছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়া নেজামুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। রোববার দুপুর ১২টায় মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তারা এ মানব-বন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে। মানব-বন্ধন ও বিক্ষোভ শেষে তারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে। যার অনুলিপি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তারা বোয়ালিয়া নেজামুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী। অথচ তাদের প্রধান শিক্ষক মোঃ রাকীবুল হাসান কোনও শিক্ষার্থী, অভিভাবক বা ম্যানেজিং-কমিটির কাউকে না জানিয়ে অতি গোপনে বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির মেধাবী ১২ শিক্ষার্থীর বোর্ড-রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন হাজী ছখিউদ্দীন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় নামে অন্য একটি স্কুলে। বোর্ড পরীক্ষায় উন্নিত হয়ে প্রশংসাপত্র তুলতে গেলে চোখ কপালে উঠে শিক্ষার্থীদের। প্রধান শিক্ষক হাজী ছখিউদ্দীন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্যাডে নিজে স্বাক্ষর ও সীল দিয়ে প্রশংসাপত্র দেন। তখন প্রধান শিক্ষকের জালিয়াতির বিষয়টি সবার কাছে পরিস্কার হয়। অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, হাজী ছকিউদ্দীন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষকের বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত। তাই তিনি বাবার নামের স্কুলের সুনাম বৃদ্ধি করতেই নেজামুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ১০৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হতে ১২ রোল পর্যন্ত শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন ওই স্কুলে করিয়েছেন। তারা আরও জানায়, প্রধান শিক্ষক রাকীবুল হাসান এ্যাসাইনমেন্ট জমা নিতে ৫০ প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ৫‘শ টাকা করে আদায়সহ দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলে নানা দূর্ণীতি করে আসছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে কিভাবে তিনি এমন জালিয়াতি করলেন তার সুষ্ঠু বিচার ও অপসারণের দাবিতে তারা এ মানব-বন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শণ করছে। প্রধান শিক্ষক মো. রাকীবুল হাসান মুঠোফোনে জানান, দুটি স্কুলের রেজিস্ট্রশন একই সাথে করা হয়েছিল। ভুল করে একটি পৃষ্ঠা অন্য স্কুলের সাথে যোগ হয়ে যায়। আর প্রশংসাপত্রে ভুল করে আমাদের স্কুলের সীল দেয়া হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: