১৩০ টাকার কর্মচারী থেকে ৪৬০ কোটি টাকার মালিক নুরুল!

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:৪৯ এএম
মাত্র ১৩০ টাকা বেতনে টেকনাফ বন্দরে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি শুরু করেছিল নুরুল ইসলাম। ২০০৯ সালে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। ২০ বছর পর সেই নুরুল ইসলামের ঢাকায় রয়েছে ছয়টি বাড়ি, ১৩টি ফ্ল্যাট; তিনি এখন ‘৪৬০ কোটি’ টাকার মালিক বলে জানিয়েছে র‍্যাব। মূলত বন্দরে দালালি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য খালাস, চোরাকারবারি, শুল্ক ফাঁকির দিয়ে নুরুল এত পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে দাবি করেছে র‍্যাব। অবৈধ উর্পাজনের এই অর্থ দিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ৩৭টি বাড়ি ও জমি কিনেছেন। এছাড়া ঢাকার সাভার, টেকনাফসহ বিভিন্ন জায়গায় কিনেছেন সম্পত্তি। র‍্যাবের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে র‍্যাবের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় বিপুল বিদেশি মুদ্রা, ইয়াবা ও জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। র‍্যাব জানায়, একসময় টেকনাফ বন্দরে ১৩০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিলেন নুরুল ইসলাম। বন্দরের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করলেও অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। পরবর্তীতে তার পদে অন্য আরেকজনকে চাকরি দেন। আর অবৈধ উপায়ে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুলে অঢেল সম্পত্তি কেনেন। মোহাম্মদপুরের হাজি দীন মোহাম্মদ রোডে তার সাড়ে চার কাঠা জমির উপর ৭ তলা ভবন রয়েছে। এছাড়া নবোদয় হাউজিংয়ে সাত কাঠা জমির উপর সাততলা বাড়ি, ঢাকা উদ্যানে নয় কাঠা জমি ও ১৭টি দোকান রয়েছে। যার মুল্য ১৫ কোটি টাকা। মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা উদ্যানে চার কাঠা জমি ও দুইতলা ভবন, একতা হাউজিংয়ে চার কাঠা জমি, হাজী দিল সড়কে ১১ কাঠা ও দুই তলা সাতটি দোকান, নবোদয় হাউজিংয়ে চার কাঠা জমি ও বাড়ি রয়েছে। এমন অনেক সম্পদের খোঁজ র‍্যাব পেয়েছে। সব মিলিয়ে নুরুল ইসলামের ৩৭টি জায়গা ও বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে। এছাড়া নয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নুরুল ইসলামের অনেক অর্থের সন্ধান মিলেছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: