মিথ্যে ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের অভিযোগ এনে দু-একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনের শরণাপন্ন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তার অভিযোগের ভিত্তিতে দুই নারীসহ মোট ৫জনকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) স্পেশাল ক্রাইম ও সাইবার ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, বাধ্য হয়ে ভিত্তিহীন খবর প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলাম। তিনি অভিযোগ করেন, ক’দিন পরপর তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালে বিভিন্ন মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়। নানা কুৎসা রটানো হয় তাকে জড়িয়ে। এতে করে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় শিল্পী সমিতির এ নেতাকে।
তিনি আরও জানান, আমার নামে মাস খানেক ধরেই মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে ভিত্তিহীন খবর প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলাম। আমরা শিল্পী আমাদের সম্মান নিয়ে বাঁচতে দিন। তিনি আরও বলেন, ডিবি কি ব্যবস্থা নেয় দেখার অপেক্ষায় আছি। এর প্রেক্ষিতে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও করতে পারি।
জায়েদ খান মনে করেন, ইতিবাচক জিনিসের চেয়ে ভিউ টার্গেট করে নেতিবাচক জিনিস ছড়িয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে কিছু ভুঁইফোড় মিডিয়া। তাছাড়া সরকারিভাবে এসব পোর্টালের কোনো নিবন্ধন নেই। নেই কোনো দায়বদ্ধতা। এ কারণে তিনি কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, এরা গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে এফডিসিতে প্রবেশ করে। কিন্তু পেশাগতভাবে সঠিক ও বৈধ কোনো পরিচয়পত্র নেই। এফডিসি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই তারা যেন এ ব্যাপারে কঠোর হন। যাকে তাকে এফডিসিতে প্রবেশের অনুমতি যেন না দেন। আমি মনে করি এতে করে ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে বিশৃঙ্খলা কমে যাবে।
পাঠকের মন্তব্য: