ফয়সাল রাকিব, বরিশাল থেকে: আগামী অক্টোবর মাসের যেকোন দিন যানচলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হতে পারে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের লেবুখালী পয়েন্টে পায়রা নদীর ওপর নির্মিত নান্দনিক পায়রা সেতু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্যদিয়েই যানচলাচলের জন্য এ সেতু উন্মুক্ত হবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। দেশে প্রথমবারের মতো এ সেতুতে যুক্ত করা হয়েছে হেলথ মনিটরিং ও পিয়ার প্রটেকশন সিস্টেম। এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মাত্রাতিরিক্ত ভারী যানবাহনের সংকেত পাওয়া যাবে।
প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিম বলেন, এ সেতুর একটি বিশেষত্ব হচ্ছে, যেকোনও দুর্ঘটনায় সিগন্যাল দেবে। দেশে প্রথমবারের মতো পায়রা সেতুতে যুক্ত করা হয়েছে হেলথ মনিটরিং ও পিয়ার প্রটেকশন সিস্টেম। এর ফলে যেকোনও ধরনের ওভারলোডেড (মাত্রাতিরিক্ত ভারী) যান সেতুতে উঠলে সাথে সাথে হেলথ মনিটরিং সিস্টেম থেকে সিগন্যাল পাওয়া যাবে। একইভাবে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প ও বজ্রপাতসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেগুলোতে সেতুর ক্ষতি হতে পারে এ ধরনের আশঙ্কা থাকলেও সিস্টেম সিগন্যাল দেবে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, পায়রা নদীর ওপর প্রায় দেড় কিলোমিটার সেতুর ৯৯ ভাগ এবং পুরো প্রকল্পের ৯৩ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি নদী শাসনের কাজ সম্পন্ন করতে ফেরি চলাচল বন্ধ করতে হবে। সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হলে ফেরি চলাচল বন্ধ করে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
সেতুটি নির্মাণে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথ বিনিয়োগ করেছে। ২০১৬ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ পায়রা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। সেতুটি নির্মাণ করেছেন চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন। এটি নির্মাণ করা হয়েছে চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর আদলে নান্দনিক নকশায়।
বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল হাসান বাদল বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর নির্ধারণ হবে সেতু উদ্বোধনের তারিখ ও সময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধণ ঘোষণার মধ্যদিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলবাসীর কাঙ্খিত পায়রা সেতুর দ্বার।
পাঠকের মন্তব্য: