আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিষ্টার তাপস কান্তি বল বলেছেন, “দেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করলে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুরা অধিকতর নিরাপদ থাকবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর এখনো নানা ভাবে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব হামলার ঘটনায় সংখ্যালঘুদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
অন্যদিকে, সমতল ও পাহাড়ী আদিবাসীদের ভুমি নিয়েও চলছে নানা ষড়যন্ত্র। তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে। ফসলের জমি ও গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এসব ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরপুর জেলা যুব ঐক্য পরিষদের এক বিশালকর্মী সভায় উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা শহরের কুসুমেশ্বরী শিব মন্দির প্রাঙ্গনে যুব নেতা শান্ত রায়ের সভাপতিত্বে ও ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহবায়ক শুভঙ্কর সাহার সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির যুব বিষয়ক সম্পাদক ব্রজগোপাল দেবনাথ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্য, সাধারন সম্পাদক কানু চন্দ্র চন্দ, যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি বলরাম বাহাদুর, লিটন কুমার দাস, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আকাশ বণিক, জেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কবি- লেখক মানিক সরকার, ও নৃপেন ঘোষ।
সম্মানিত বক্তা ছিলেন জেলা ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মলয় চাকী, শেরপুর সদর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল চন্দ্র দে, শিক্ষাবিদ ও জনউদ্যোগ আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, ঝিনাইগাতী ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক জীবন চক্রবর্তী, নালিতাবাড়ীর যুগ্ম সম্পাদক বিধান সরকার শিবু, জেলা ঐক্য পরিষদ সাংগঠনিক সম্পাদক রনক সিংহ, শেরপুর শহর ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ চাকী, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সুদর্শণ মারাক, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ শেরপুর জেলার সভাপতি বির্তাকিক ইমতিয়াজ চৌধুরী শৈবাল প্রমূখ।
কর্মী সভায় জেলার পাঁচ উপজেলা ও চার পৌরসভার ৬ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সভার দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে শান্ত রায় কে সভাপতি, লক্ষণ রায় কে সহ-সভাপতি ও ইন্দ্রনাথ চন্দ্র বর্মণ কে সাধারন সম্পাদক করে ১২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা যুব ঐক্য পরিষদের কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রিয় নেতা ব্রজগোপাল দেবনাথ ও ব্যারিষ্টার তাপস কান্তি বল।
সভা শেষে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সরকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় যেসব অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছিল তা বাস্তবায়নের লক্ষে গণস্বাক্ষর অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। সারাদেশ থেকে এ গণস্বাক্ষর করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জানান যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ।
পাঠকের মন্তব্য: