ঘাটাইলে কমিউনিটি ক্লিনিকে তালা, সেবা না পেয়ে ফিরে গেলো রোগী

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৪৭ পিএম
শফিকুল ইসলাম, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) থেকে: ঘাটাইলের সুদূরে লক্ষিন্দর ইউনিয়নের মুরাইদ কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী ও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি ও কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার, শনিবার, রবিবার ও সোমবার (২৩, ২৫, ২৬, ২৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ক্লিনিকে ঝুলছে তালা। রোগীদের উপচে পরা ভিড় ও উপস্থিতি নজরে পড়ার মতো থাকলেও নেই স্বাস্থ্য সেবাদাতার হদিস। রোগীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী অনিয়মিত ও কর্তব্য অবহেলা করে নাম মাত্র সেবা দিচ্ছেন। ক্লিনিকের সামনে দাড়িয়ে থাকা গারোবাজার দুলালিয়া এলাকার রোগীরা এসেছিলেন চিকিৎসা সেবা নিতে। কিন্তু ক্লিনিকটি বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সেবা না নিয়েই ফিরে যান তারা। সেবা গ্রহীতা দুলালিয়া গ্রামের কুমেদ আলীর স্ত্রী মোছা. মালেকা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমগোরে লগে মেলা (সাথে) খারাপ ব্যবহার করে। ওষুদ (ঔষধ) চাইলে দিবার চায় না। আমরা গরীব মানুষ রোগ অইলে আহি কিন্তু তাগোরে (স্বাস্থ্য সহকারী) পাই না। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, অনিয়মিত ও কর্তব্য অবহেলা করে চলছে এ ক্লিনিকটি। কিছু বললে আমাদের ক্লিনিকে প্রবেশ করতে দেয় না। ঔষধও দেয় না। ঠান্ডার ঔষধ চাইলে দেয় জ্বরের ঔষধ। মাসে দুই-তিন দিন নাম মাত্র খুলতে দেখি। এ বিষয়ে মুরাইদ ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী মোছা. লিজা আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি নিয়মিত আসি। রোগীদের সেবাও ঠিক মতো দেই। আপনারা একদিন এসে দেখেন। তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে করোনা টিকা কেন্দ্রে আছেন বলে পরে ফোন করতে বলেন। এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার এসোসিয়েশনের সভাপতি জহুরুল ইসলাম (জিএম) বলেন, সপ্তাহে ছয় দিন ক্লিনিক খোলা রাখা বাধ্যতামূলক । অনুমতি নিয়ে বিশেষ প্রয়োজন ব্যতিত বন্ধ রাখার কোন সুযোগ নেই। এমনটা কেউ করলে তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: