ইভ্যালির রাসেলকে নজরদারিতে রেখে ব্যবসার সুযোগ দাবি

প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১০:২৮ পিএম
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমার মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে ইভ্যালির মার্চেন্ট ও ভোক্তারা। রোববার (৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানায়। এ সময় ইভ্যালির মার্চেন্ট ও ভোক্তাদেরর বক্তব্য তুলে ধরেন সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন ও সহসমন্বয়ক সাকিব হাসান। সংবাদ সম্মেলনে রাসেলকে মুক্তি দিয়ে নজরদারির মধ্যে রেখে দিকনির্দেশনা দিয়ে ব্যবসার করার সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে মার্চেন্ট ও ভোক্তারা। ইভ্যালির মার্চেন্ট ও ভোক্তাদের সমন্বয়ক সাকিব হাসান দাবি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা ইভ্যালির প্রায় ৭৪ লাখ গ্রাহক ও প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি বিক্রেতা এবং ৫ হাজারের অধিক স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ইভ্যালির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ইভ্যালি দেশের প্রথম সারির ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে ভোক্তা ও উদ্যোক্তা তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ইভ্যালির ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও সিইও মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্যবসায়ের পরিধি বড় হলে কিছু অভিযোগ ও সমন্বয়হীনতা থাকতে পারে। আমরা মনে করি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ই-ক্যাব, মার্চেন্ট, ভোক্তাসহ সবার প্রতিনিধি ও ইভ্যালির কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি করে সমন্বয়হীনতা বা সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।’ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এই সংকট মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে আমরা প্রায় ৭৫ লাখ পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পথে বসব। আমাদের বিশ্বাস, সংকট মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সবার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিরাসন করে সম্ভাবনাময় একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে লাখ লাখ ভোক্তার স্বপ্নপূরণ এবং হাজার হাজার উদ্যোক্তার ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে।’ এ সময় তারা সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো: ১. ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তি দিতে হবে। ২. রাসেলকে নজরদারির মাধ্যমে দিকনির্দেশন দিয়ে ব্যবসা করা সুযোগ দিতে হবে। ৩. এসক্রো সিস্টেম চালুর আগে অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি দিতে রাসেল সময় চেয়েছেন, আমরা তাকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করতে চাই। ৪. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ই-ক্যাব, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট ও ভোক্তা প্রতিনিধিদের সমন্বয কমিটি গঠন করতে হবে। ৫. করোনাকালীন বিভিন্ন খাতের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে প্রণোদনা দিতে হবে। ৬. ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাধ্যতামূলক লাইসেন্স নিতে হবে ব্যাংক গ্যারান্টিসহ। ৭. ই-কমাস বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত, যেখানে হাজার হাজার উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে এবং লাখ লাখ কর্মসংস্থান হচ্ছে, এ খাতকে সরকারিভাবে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: