জুড়ীতে বিদ্রোহীরা সরে যাওয়ায় আওয়ামী শিবিরে স্বস্তি

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২১, ০৯:০১ পিএম
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে আওয়ামীলীগ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের যেকোনও নির্বাচনে একবার বিদ্রোহী প্রার্থী হলে ওই নেতাকে আর কখনই নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। সারা জীবনের জন্য দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণাও দিয়েছে দলটি। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ২য় ধাপে হওয়া মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ৫টি ইউপিতে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন মোট দুই ডজন প্রার্থী। দলীয় ভাবে যাচাই-বাছাইয়ের পর পাঁচজনকে দেওয়া হয় দলীয় প্রতিক নৌকা। গত ইউপি নির্বাচনে অনেকে নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়। বিদ্রোহীরা স্বতন্ত্রভাবে অংশ নেওয়ায় গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা পড়েছিল অনেকটাই বেকায়দায়। কিন্তু এবারের নির্বাচনে এ দৃশ্য অনেকটা ভিন্ন। ইতিমধ্যে দলীয় মনোনয়নের প্রতি সম্মান জানিয়ে অনেকেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নে গত নির্বাচনে ৪৪২৫ ভোট পেয়ে চমক দেখানো আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম অফিকুল এবার নৌকা না পেয়ে দলের প্রতি সম্মান জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গত নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন কালা ও প্রথম বারের মত নৌকার মনোনয়ন চাওয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আহমদ ফয়ছল নাহিদও নৌকা না পাওয়ায় ইতিমধ্যে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন। উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে গত নির্বাচনে বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে নৌকা নিয়ে বিজয়ী হন বর্তমান চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন আহমদ। এবার তাঁকে বাদ দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কাদিরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন । এদিকে দলীয় মনোনয়ন নৌকা না পেয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন গত বারের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম মঈন। তবে নৌকার মনোনয়ন চাওয়া উপর প্রার্থী ফ্রান্স আওয়ামীলীগ সদস্য ওবায়দুল ইসলাম রুহেল স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে আছেন। উপজেলার গোয়ালবাড়ী ও সাগরনাল ইউনিয়নে‌ নৌকার কোন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় এ দুই ইউনিয়নের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীরা রয়েছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। এছাড়াও পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবের হাসান জেবলু নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালেও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য গত নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনফর আলী নির্বাচন করবেন বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা বলেন, প্রায় প্রতিবারই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে দেখা যায় আওয়ামী লীগের কোনও না কোনও নেতা ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েন। ওই বিদ্রোহী প্রার্থীকে ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয় কেন্দ্রীয়সহ উপজেলার নেতৃবৃন্দের। এ কারণে এবার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামীলীগ। দলের এ সিদ্ধান্ত কে আমরা সাধুবাদ জানাই।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: