৭০ শিশুকে কারাগারে না পাঠিয়ে ছয় শর্তে সাজা মাফ

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০১:৫৭ এএম
সুনামগঞ্জে ৫০ মামলায় অভিযুক্ত ৭০ শিশুকে কারাগারে না পাঠিয়ে ছয় শর্তে সংশোধনের জন্য মা-বাবার জিম্মায় দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এমন আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের পক্ষ থেকে সকল শিশুকে ফুল ও একটি করে ডায়েরি দেওয়া হয়। এ সময় ৭০ শিশুর মা-বাবা ও স্বজনরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সুনামগঞ্জ শিশু ও মানব পাচার আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হাসান মাহবুব সাদী।ছয়টি শর্তে বাড়িতে মা-বাবার জিম্মায় থেকে ‘সাজা ভোগ’ করবে শিশুরা। এই শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছর। ‘দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স ১৯৬০’ অনুযায়ী সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এবং শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন মামলাগুলোর রায় দেন। আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি হাসান মাহবুব বলেন, ৫০টি মামলায় ছয়টি শর্তে ৭০ জন শিশুকে আদালত প্রবেশন দিয়েছেন। এক বছর তাদের শর্তগুলো মেনে চলতে হবে। এক বছর পর আবার আদালতে এসে উপস্থিত হতে হবে। তখন যদি দেখা যায় যে, তারা সব শর্ত মেনে চলেছে, তাহলে তারা মুক্তি পেয়ে যাবে। কিন্তু সেটা যদি না হয়, তাহলে তাদের আবার সাজা পেতে হতে পারে। চুরি, মারামারি, শ্লীলতাহানি, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, ফেসবুকে অশ্লীল ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ-ইত্যাদি অভিযোগে শিশুদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতের দেওয়া ছয় শর্তে বলা হয়েছে, এসব শিশুদেরকে প্রতিদিন দুইটি ভাল কাজ করে আদালতের দেওয়া ডায়েরিতে লিখে রাখতে হবে এবং বছর শেষে ডায়েরি আদালতে জমা দিতে হবে, মা-বাবা ও গুরুজনদের আদেশ মানতে হবে, তাদের সেবাযত্ন ও কাজে সাহায্য করতে হবে, নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ ও ধর্ম-কর্ম করতে হব, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা, মাদক থেকে দূরে থাকা ও ভবিষ্যতে অপরাধের সাথে না জড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে। সুনামগঞ্জ শিশু ও মানবপাচার আদালতের অতিরিক্ত পি.পি অ্যাডভোকেট হাসান মাহবুব সাদী বলেন, বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে বিচারক যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। এই রায়ে ৭০ শিশু তাদের মা-বাবার কোলে ফিরে গেল।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: