নড়াইলে সাংসদ মুক্তির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০৩:০৬ এএম
হাবিবুর রহমান, নড়াইল থেকে: নড়াইলের কালিয়ায় আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় এমপি মুক্তির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামুদ্দিন খান নিলু মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নড়াইলে-১ এর সাংসদ বি, এম, কবিরুল হক মুক্তি। এ উপলক্ষ্যে রবিবার ( ১৭ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজামুদ্দিন খান নিলু ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষকে মনোনয়নের নামে অর্থবানিজ্য, রাজাকারের সন্তানকে মনোয়ন পাইয়ে দেওয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করে দলের ভাবমুর্তি নষ্ট করা, প্রকৃত আওয়ামীলীগ কর্মীদের বঞ্চিত করে টাকার বিনিময়ে বিতর্কিত লোককে দলে স্থান ও অবস্থান করে দেওয়া, সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ মিথ্যাচার করে দলের ভরাডুবির বিস্তর অভিযোগ এনে কবিরুল হক বলেন, আমি বিস্মিত হয়েছি হতবাক হয়েছি এ কারনে যে, গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের সামনে একজন আওয়ামীলীগের সাংসদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও কাল্পনিক কিছু কথা বলেছেন, যা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আহত করেছে। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের মত একটা দায়িত্বশীল পদে থেকে আওয়ামীলীগেরই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এরকম কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারে, এটা আমার কাছে খুবই লজ্জার বিষয়। ১৯৫৩ সাল থেকে আমার পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছে, আমার বাবা এই জনপদের সংসদ সদস্য ছিলেন, আমার বাবা এই জনপদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন, আমার বাবা কালিয়া উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা মেয়র ছিলেন, তাঁর সন্তান হিসেবে আমি দুইবার কালিয়া উপজেলা মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি এবং ৩বার এই জনপদের এমপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে নিজামুদ্দিনের আয়েশি জীবন-যাপন ও আলীষান বাড়ী করার জায়গা ও অর্থের উৎস কোথায় জানতে চান। তিনি বলেন, বড়দিয়া মুন্সী মানিক মিয়া ডিগ্রী কলেজের ইংরেজী শিক্ষক মৃত কালীকিংকর বাবুর জায়গা দখল করে তিনি ওই বাড়ী করেছেন। লাইসেন্স থাকওে আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল পদে থাকা একজন লোক কী করে মদের ব্যবসায় সম্পৃক্ত থাকতে পারে? এটা আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন? মনোনয়নের নামে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বঞ্চিত করে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিমিয়ে বিতর্কিত লোককে মনোনয়ন দিয়ে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে ওই দায়িত্বশীল নেতা। এছাড়া বিগত পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলরদের কাছ থেকে কৃষ্ণপদ ঘোষ জিতিয়ে দেওয়ার নাম করে এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল আওয়ামীলীগের বর্ধিত জনসভায় বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এমপি হিসাবে আমাকে চিঠি দেওয়া হলেও প্রটোকল অনুযায়ী সেখানে আমার জন্য কোন আসন বরাদ্দ না থাকায় এবং ব্যানারে আমার নাম না থাকায় আমি দর্শক গ্যালারীতে আসন গ্রহন করি। তাদের সাথে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সৃষ্ট তর্কাতর্কিতে চেয়ার টেবিল ভাংচুর হয়। যার দায়ভার আমার ওপর চাপানো হয়। আমি আপনাদের মাধ্যমে মানিনীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করছি, নড়াইলের রাজনীতি আজ বাজিকরদের দখলে, নড়াইলের রাজনীতি আজ আত্মীয়তার বন্ধনের দখলে, নড়াইলে রাজনীতি আজ লক্ষ কোটি টাকা ইনকামকারী মানুষের দখলে থাকা আওয়ামীলীগকে বাঁচান। এছাড়া তিনি তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালিয়ার ১২টি ইউনিয়নে দলীয় প্রতীক ব্যতীত উন্মুক্তভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জোর দাবী জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন, নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোল্যা ইমদাদুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র এমদাদুল হক টুলু উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ তরিকুল আলম মুন্নু, উপজেলা পরিষদের ভাইচ চেয়ারম্যান, ইব্রাহীম শেখ, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খান রবিউল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আশীষ ভট্টাচার্যসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: