এবার জাপান থেকে ছোট মেয়েকে হাজির চেয়ে বাবার রিট

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২১, ০৫:২৭ পিএম
জাপানে থাকা নিজের ছোট মেয়েকে হাজির করানোর নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিক ইমরান শরীফ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে এটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে। তার অন্যতম আইনজীবী কাজী মারুফুল আলম খবরটি জানিয়েছেন। এরিকোর আইনজীবী শিশির মনিরের তথ্য মতে, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো (৪৬) ও বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) জাপানি আইনানুসারে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। ১২ বছরের সংসারে তিনটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তারা হলো-জেসমিন মালিকা (১১), লাইলা লিনা (১০) এবং সানিয়া হেনা (৭)। এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। তিন মেয়ে টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের (এএসজেআই) শিক্ষার্থী ছিল। এর আগে বড় ও মেজ মেয়েকে হাইকোর্টে হাজির করানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট জমা দেন ইমরান শরীফের সাবেক স্ত্রী জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই মেয়েকে নিয়ে আসা হয়। এখন ঢাকার গুলশানের একটি ভাড়া বাসায় দিন-রাত পর্যায়ক্রমে সন্তানদের দেখাশোনা করছেন তাদের বাবা-মা। ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে তার জিম্মায় থাকা দুই সন্তানকে নির্যাতনের অভিযোগে ডা. এরিকো নাকানো মামলা দায়েরের পর তাদের উদ্ধার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে উন্নত পরিবেশে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রাখা হয় দুই শিশুকে। সেইদিন পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা মা এবং বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা অবধি বাবা সন্তানদের সঙ্গে থাকতে পারবেন বলে আদালত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে মেয়ে দুটির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন উচ্চ আদালত। ডা. এরিকো নাকানোর করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট এসব আদেশ দেন। এছাড়া ৩১ আগস্ট শিশুদের হাইকোর্ট হাজির করতে এবং এ সময়ের মধ্যে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের বিষয়টি সমাধানে ভূমিকা রাখার প্রচেষ্টা চালাতে পরামর্শ দেওয়া হয়। গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশি বাবা ও জাপানি মায়ের দুই শিশুকে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিবর্তে গুলশানে একটি বাসায় পালাক্রমে ১৫ দিন বসবাসের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঢাকার সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক পদের একজন বিষয়টি তদারকির দায়িত্ব পান। পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামকে পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়। এ সময়ের মধ্যে দুই পক্ষকে বিষয়টি সুরাহা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন আদালত। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় দফায় দুইপক্ষের আইনজীবীদের আলোচনায় বসার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে কোনও সুরাহা না হওয়ায় মামলাটি পুনরায় শুনানিতে ওঠে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: