নাগেশ্বরীতে ভাঙ্গছে দুধকুমার গত দুই দিনে ভেঙেছে অর্ধশত ঘর-বাড়ি

নাগেশ্বরীতে কার্তিকে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে হঠাৎ করেই বেড়েছে নদ-নদীর পানি। দেখা দিয়েছে প্রমত্তা দুধকুমারে নদে ব্যাপক ভাঙ্গন। তীরবর্তী আতঙ্কিত মানুষ গাছপালা কেটে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নেয়ার আগেই তা ভেঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সবকিছু হারিয়ে বিলাপ করছে তারা। সৃষ্ট লঘুচাপে অসময়ে আষাড়ী ভাবভঙ্গিতে আকাশ। গত রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে এ অ লে। বৃষ্টি ও উজানের পাহারী ঢলে বেড়েছে উপজেলার মধ্য দিয়ে সর্পিলাকারে প্রবাহিত দুধকুমারের পানি। দেখা দিচ্ছে ফাটল। পরমহুর্তে তা ধ্বসে যাচ্ছে। গিলে খাচ্ছে ফসলী জমি, বসতভিটা, ঘর-বাড়ী ও স্থায়ী স্থাপনা। গত দুইদিনে দুধকুমার ভেঙ্গেছে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মালিয়ানী গ্রামের শহিদুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব, দুলাল ব্যাপারী, টগরু, কলিমুদ্দিন, মর্জিনা খাতুন, আনছারহাটের ওহাব দরবেশ, দুলাল মিয়া, সাহেবউল্লাহ, সেকেন্দার আলী, হোসেন আলী, আবুল মিয়া, আনছারহাট মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠ, সর্দারটারী গ্রামের আতাউর রহমান, আজহারুল ইসলাম, আজিজার রহমান, আমজাদ হোসেন, আজিজুল ইসলাম ও একটি ফেডারেশন ঘর, কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কুমড়িয়ারপাড় গ্রামের অনন্ত কুমার, মফিজুল হক, ভবেন চন্দ্র, নাছিমা পারভীনের বাড়ী। ভাঙ্গছে কুমেদপুর, নামারচর, শালমারা, মৈশালপাড়ায় অনেক ঘর-বাড়ী ও ফসলি জমি। বেরুবাড়ী ইউনিয়নের খেলারভিটা গ্রামের আব্দুল জব্বার, রাজেন্দ্র নাথ, নুর ইসলাম, ইসলামপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম, চররহমানের কুটি গ্রামের মুসামিয়া, আল আমীন, শহিদুল ইসলামসহ অনেকের বাড়ী গিলে খেয়েছে এ দুধকুমার। সর্বস্ব গিলে খাওয়ায় বিলাপ করছে তারা। গত দুই দিনে দুধকুমার ভেঙ্গেছে ওইসব এলাকায় প্রায় ৫০টি ঘর-বাড়ী। ভাঙ্গনের শিকার মালিয়ানী গ্রামের শহিদুল ইসলাম, বেরুবাড়ী ইউনিয়নের খেলারভিটা গ্রামের আব্দুল জব্বার, কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কুমড়িয়ারপাড় গ্রামের অনন্ত কুমারসহ সর্বস্ব হারানো এ মানুষগুলো কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন একমাত্র দুধকুমার নদ আমাদের নি:স্ব করেছে। আমরা প্রতিবছর ভাঙ্গনে ধীরে ধীরে গরীব ও অভাবী হয়ে গেছি। এখন কি করব ভেবে পাচ্ছি না। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, আকস্মিক পানি বৃদ্ধিতে দুধকুমারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বেশকিছু ঘর-বাড়ী ভেঙ্গেছে। এসব এলাকায় ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।