পীরগাছায় আ.লীগ ৩, জাপাসহ স্বতন্ত্র ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জয়

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১২:৩৫ এএম
একরামুল ইসলাম, (পীরগাছা) রংপুর থেকে: রংপুরের পীরগাছায় দ্বিতীয় ধাপের ৮ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বড় ধরণের দুর্ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আ.লীগ ৩, জাতীয় পাটি ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এ ভোটগ্রহণ। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর উপজেলা পরিষদ হলরুমে রিটার্র্নিং অফিসাররা বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। নির্বাচিতরা হলেন-পারুল ইউনিয়নের আ.লীগের তোফাজ্জল হোসেন ১০০০৪ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ৯৪০৩, ইটাকুমারী ইউনিয়নের আবুল বাশার ৭০৮৮ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম সোহেল ৫৭২২, অন্নদানগর ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম ৫৯৩০ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুর রহমান ৫৭৪৪, ছাওলা ইউনিয়নের বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজির হোসেন ১৪৫৯১ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের আব্দুল হাকিম ৭৬২৪, তাম্বুলপুর ইউনিয়নের জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুর রশিদ মুকুল ৭২৬৮ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী সোহরাব হোসেন মিঠু ৫৭২৯, পীরগাছা সদর ইউনিয়নের বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান রেজা ৮৮৭৫ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির শাহ রনজু মিয়া ৮১৪০, কৈকুড়ী ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির নুর আলম ৮৪৫৬ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের শফিকুল ইসলাম লেবু মন্ডল ৭১৬৩ ও কান্দি ইউনিয়নের বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সালাম আজাদ জুয়েল ১০১২১ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের আমিনুল ইসলাম রাজ্জাককে ৫৩৮৭ ভোটে পরাজিত করে বিজয়ী হন। দিনের শুরুতে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও বিকেল গড়াতে কিছু কেন্দ্রে জাল ভোটের গুজব ও অভিযোগ উঠে। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জাল ভোটের গুজবে মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে ৭টি কেন্দ্রে হাতাহাতি ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ রংপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। পীরগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৈকুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোংলাকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর রামচন্দ্রপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জমানবীশ বালিকা দাখিল মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, নারী ভোটারের দীর্ঘ লাইন। ওই কেন্দ্রগুলোতে পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি হাতে গোনা। পীরগাছা সদর ও পারুল ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়। এদিকে জাল ভোট দেওয়া ও গুজব সৃষ্টি করে পীরগাছার দশগাঁ মোহাম্মদ আলী দাখিল মাদ্রাসায় দুই ইউপি সদস্যে প্রার্থীর হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন, পারুল ইউনিয়নের মহিষমুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সদস্য প্রার্থী আজিজুল ইসলামের সমর্থকের হামলায় অপর প্রার্থী নুর হোসেন, কর্মী আংগুর মিয়া, সাবু মিয়া, মতিয়ার রহমান, এনামুল হক, বাপ্পি ও মোহাম্মদ আলীসহ ১০ জন আহত হয়। এছাড়াও তাম্বুলপুর হাইস্কুল, কাশিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, সেচাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব পারুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পেটভাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাতাহাতি ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার শোয়েব সিদ্দিকী বলেন, বড় ধরণের বিশ্ঙ্খৃলা ছাড়াই ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ১১৭টি কেন্দ্রের ৬২৩টি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৮টি ইউনিয়নে ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৯৯ জন ভোটার। এ জন্য ১১৭ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬২৩ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও এক হাজার দুই শত ৪৬ জন পুলিশ অফিসার, অতিরিক্ত পুলিশ, ৮ জন ম্যাজিষ্ট্রেট, ৪টি মোবাইল টিম, ১১৭ জন পিসি এবং এপিসি সহ এক হাজার ৯৮৯জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: