মনিরুজ্জামান, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) থেকে: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর দশ টাকা কেজি চালের রেশন কার্ড জমা নিয়ে তা ফেরত না দেয়া ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের প্রায় এক মাস পূর্বে তিনি রেশন কার্ডগুলি জমা নেন। উপকারভোগীদের কার্ড ফেরত না দেয়ায় চাল নিতে এসে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন ভূক্তভোগীরা। এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বলদিয়া ইউপির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও কাশিম বাজারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার মোজাম্মেল হক দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বলদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর উপকারভোগীরা তাকে ভোট না দিলে তাদেরকে দশ টাকা কেজির চাল দেয়া হবে না এবং কার্ড বাতিল করা হবে এমন ভয়ভীতি দেখিয়েছেন তিনি ও তার কর্মীরা।
অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয় অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর কার্ড জমা নিয়ে চাল দেয়া হয়। কিন্তু চলতি মাসে চাল বিতরণ শুরু হলেও উপকারভোগীদের কার্ড ফেরত দেয়া হয়নি। এতে উপকারভোগীরা চাল নিতে গিয়ে হয়রানি শিকার হচ্ছেন।
অভিযোগকারী সোলেমান,কাদের, চাদ মিয়া,কল্পনা ও আলিমা বলেন, শুধুমাত্র মাষ্টাররোলে টিপ নিয়ে চাল দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কার্ড এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি। কার্ড ছাড়া চাল নিতে এসে আমরা হয়রানীর শিকার হচ্ছি। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার ও নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর উপকারভোগীদের কার্ড
জমা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কার্ড আটকে রাখার বিষয়টি সঠিক নয়। তবে পুরাতন কার্ড পরিবর্তন করে নতুন কার্ড দেয়ার জন্য এবং পুরাতন কার্ডের তথ্য নতুন কার্ডে যুক্ত করতে কার্ড জমা নেয়া হয়েছিল। সময় স্বল্পতার কারণে উপকারভোগীদের নতুন কার্ড দেয়া সম্ভব হয়নি তবে মাস্টার রোলের মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। যা পরে কার্ডে তোলা হবে। ভোট না দিলে কার্ড বাতিল করা কিংবা চাল না দেয়ার এবং ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মন্তব্য: