কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ফের যাত্রা শুরু করল কর্ণফুলী এক্সপ্রেস

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২১, ০৬:০৭ এএম
কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে আবারও সরাসরি যাত্রা শুরু করলো দেশের প্রথম সমুদ্রগামী জাহাজ এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস। কক্সবাজার শহরের বিমানবন্দর সড়কের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় যাত্রা শুরু করে বেলা ১টায় সেন্টমার্টিন পৌঁছায় জাহাজটি। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে বিরতির পর বিকেল সাড়ে ৩ টায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ফের রওনা দেয় বিলাসবহুল এ জাহাজটি। আগামী ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনাল থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এই কোম্পানির আরেক বিলাসবহুল ক্রুজশীপ ‘এমভি বেওয়ান’। এটাও চলতি পর্যটন মৌসমে চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিনে মধ্যে নিয়মিত চলাচল করবে। চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটেও সমুদ্রগামী বিলাসবহুল কোন জাহাজের যাতায়াত এটাই প্রথম। কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ জানান, এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসকে নিজস্ব ডকইয়ার্ডে একটি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল জাহাজ হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১১ মিটার প্রস্ত এই নৌযানে মেইন প্রপালেশন ইঞ্জিন-দু’টি। আমেরিকার বিখ্যাত কামিন্স ব্র্যান্ডের এই ইঞ্জিনের একেকটির ক্ষমতা প্রায় ৬০০ বিএইচপি। জাহাজটি ঘণ্টায় প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে। ১৭টি ভিআইপি কেবিন সমৃদ্ধ নৌযানটিতে ৩ ক্যাটাগরির প্রায় ৫০০ আসন রয়েছে। রয়েছে কনফারেন্স রুম, ডাইনিং স্পেস, সি ভিউ ব্যালকনিসহ আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। এরচেয়েও অত্যাধুনিক সুবিধা নিয়ে তৈরি কোম্পানির আরেক বিলাসবহুল ক্রুজশীপ ‘এমভি বেওয়ান’। ট্যুরস অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সাবেক সভাপতি মো. রেজাউল করিম বলেন, পাহাড় সমুদ্র বরাবরই টানে পর্যটকদের। সাগরের বিশালতার কাছে গেলেই প্রকৃতি সকলকে আপন করে নেয়। তাই বিশ্বের বৃহত্তম সৈকতের শহর কক্সবাজারের গুরুত্ব অন্যতম। উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে সাগরের বুকে ক্ষুদ্রাকৃতির নয়নাভিরাম প্রবাল দ্বীপ- সেন্টমার্টিন। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এ প্রবালদ্বীপে গুরুত্ব পর্যটকদের কাছে অসীম। কিন্তু কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করতে পর্যটকদের পাড়ি দিতে হয় টেকনাফের দীর্ঘ স্থলপথ। সম্প্রতি এম ভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস সেই বোরিং জার্নিকে নীল সমুদ্রের নান্দনিক ভ্রমণে রূপ দিয়েছে। নিঃসন্দেহে যা এক বিরল সুযোগ ও সম্ভাবনার হাতছানি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: