দু’পাশে ভাঙন, আতঙ্কিত মানুষ

প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:১৬ পিএম

এহসানুল হক, ফরিদপুর থেকে: ফরিদপুরে নগরকান্দা উপজেলা এলাকায় কুমার নদ খননের পর নদের পাড় ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল এলাকার দুটি বসত বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নগরকান্দা সরকারি এমএন একাডেমি ভবন, থানা ভবন ও বাজারের কেন্দ্রীয় কালি মন্দির ভবনসহ পৌর বাজার এখন ঝুঁকিতে রয়েছে।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদপুর জেলা সদর থেকে ভাঙা উপজেলা পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার কুমার নদের পুনঃখননের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এদিকে কাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্ববধানে বেঙ্গল গ্রুপ বাস্তবায়ন করছে। কুমার নদ পুনঃখননের ফলে নগরকান্দা উপজেলা এলাকার কুমার নদের পাড়ের কিছু কিছু স্থানে ধ্বস এবং ফাটল দেখা দিয়েছে। উপজেলার পাঁচকাইচাইল এলাকায় নদীর পাড়ে বসবাসরত আশরাফ মাতুব্বরের বসত বাড়ি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একই এলাকায় সেলিম মিয়ার বসত ঘরের অধিকাংশ মাটি ধসে নদীর মধ্যে চলে গেছে। নদীর পাড়ে ঝুলন্ত অবস্থায় কিছু ঘর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোন মুহূর্তে ঘর নদীগর্ভে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া নগরকান্দা সরকারি এমএন একাডেমির নব-নির্মিত ভবন, নগরকান্দা থানার নবনির্মিত ভবন, নগরকান্দা বাজারের কেন্দ্রীয় কালীমন্দিরের ভবন, একাধিক আবাসিক ভবনসহ পৌর বাজারের একাংশ ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানে প্রায় ২০০ মিটার এলাকা নিয়ে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। একাধিক স্থানে প্রায় ৩-৪ ফুট দেবে গেছে। নদীর পাড়ে বসবাসরত এলাকার বাসিন্দারা, কুমার নদের তীব্র ভাঙনের আতংকের মধ্যে দিয়ে দিন রাত পার করছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত আশরাফ মাতুব্বর বলেন, আমার বসতবাড়িতে সামান্য ফাটল দেখা দেয়ায়, ভয় পেয়ে রাতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাড়ির পাশে অন্যের ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। মধ্য রাতে হুড়মুড় শব্দে উঠে দেখি আমার ঘর নদীর মধ্যে চলে গেছে। এখন আমি আমার শশুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।

এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা সংবাদমাধ্যমকে জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরেজমিনে লোক পাঠিয়েছি, এটা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: