হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠ

প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৫৩ এএম

হাবিবুর রহমান, নড়াইল থেকে: মাঠের পর মাঠ সরষের হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। এ যেন হলুদের সমারোহ। ফুলের ঘ্রাণে আকৃষ্ট হয়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছিরা প্রকৃতিকে আরও অপরূপ করে তুলছে। দিগন্ত জুড়ে ফুলে ভরা সরিষা মাঠ দেখে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে সরিষার ভালো ফলনের আশা করছেন তাঁরা। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় সরিষার ফলন ভালো হয়। ৮০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে পাকা সরিষা কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারবেন।

লোহাগড়া উপজেলার মরিচ পাশা, চাচই, কামঠানা, কালনা, গন্ডব, আড়পাড়া, শিয়রবর, লাহুড়িয়া, দিঘলিয়া, মল্লিকপুর, আমডাঙা, ধানাইড়, আড়িয়ারা, মাকড়াইল, চর আড়িয়ারা, আড়পাড়া এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। সরিষা ফুলে ভরে গেছে দিগন্ত মাঠ। সরিষা আবাদে লাভজনক হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ১টি পৌরসভায় চাষ অনেকাংশেই বেড়েছে। লোহাগড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা বিগত মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। ফলে সরিষার মতো অতি অল্প সময়ের ফসলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রইচ উদ্দিন বলেন, মাত্র ১০ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করলে ৫-৬ জনের পরিবারের এক বছরের তেলের চাহিদা মিটে যায়। উপজেলায় এবার সরিষার ফলন বেশ ভালো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়া গেলে কৃষকের লাভের অঙ্কটা একটু বেশি হবে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রবীর কুমার দাস জানান, বারি সরিষা-১৪ ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে উঠছে। এর তেলের গুণগত মানও অনেক ভালো। কৃষক তাঁর উৎপাদিত সরিষার ভালো দাম পাবেন বলেও জানান কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: