দুটি কিডনিই নষ্ট, বাঁচার আকুতি রাফিজার

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:১১ পিএম

নষ্ট দুটি কিডনি নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে শার্শার এক হতদরিদ্র কৃষকের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে রাফিজা খাতুন। রাফিজা খাতুন দীর্ঘ ৬ মাস ধরে দুটো কিডনি রোগে ভুগছে। অর্থের অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে না পারায় রাফিজার মা বাবা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় মানবসেবীদের কাছে রাফিজার উন্নত চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান তারা।

সরেজমিনে রাফিজার বাড়িতে গিয়ে তার এ দুরাবস্থার কথা জানা যায়। শার্শা উপজেলার ধলদাহ গ্রামের গরীব কৃষক আব্দুর রহিমের কণ্যা রাফিজা খাতুন। সে বাবা-মায়ের বড় সন্তান। তার আছে আরো এক বোন ও এক ভাই। রাফিজা ধলদাহ তবিবর রহমান সরদার (টি আর এস) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়তো। সে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় এখন আর স্কুলে যেতে পারেন না।

মাত্র ১৬ বছর বছরের কিশোরী রাফিজা। আর এ বয়সে তার দুটো কিডনিই শতকারা ৭৫ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সে আর হাটতে চলতে পারে না। সে বিনা চিকিৎসায় বর্তমানে অথর্ব হতে চলেছে। এখন শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে রাস্তার দিকে। তার সহপাঠিরা স্কুলে যার আর এ দেখেই তার দু'চোখ অশ্রু গড়িয়ে পরে। রাজিয়ার এমন অবস্থা দেখে বাবা মা সহ স্বজনরা মানসিকভাবে ভেঙে পরেছেন। যে মেয়ে মাত্র কদিন আগে সারা মহল্লা ছুটাছটি করতো আজ সে প্রায় অথর্ব।

একটি কিডনি চেয়ে জীবন বাঁচানোর করুণ আকুতি নিয়ে রাফিজা খাতুন বলেন, সমাজের সকলে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো সুস্থ হয়ে আবারও আপনাদের মাঝে ফিরতে পারবো। রাফিজার মা বাবা জানান, আমরা খুবই গরীব মানুষ। কনো রকম দিন আনতে পান্তা ফুরায়। বিগত ৬ মাস আগে মেয়ের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে পরীক্ষা করে জানতে পারি তার কিডনির সমস্যা হয়েছে।

এরপর জানতে পারি ধীরে ধীরে তার দুটো কিডনিই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করাতে করাতে ইতোমধ্যে অনেক টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। এখন আর চিকিৎসা করাতে পারছিনা। রাফিজার মা বাবা সহ প্রতিবেশিরা আরও জানান, মেয়েকে বাঁচাতে আপাতত একটি কিডনি জরুরি ভাবে প্রয়োজন। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসাই যখন থমকে গেছে সেখানে কিডনি স্থাপন করা তো দূরহ ব্যাপার।

রাফিজার মা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, দিন দিন রাফিজার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। শরীর দিন দিন দূর্বল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। এখন মেয়েকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সমাজের বিত্তশালী মানুষের কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন করেন তিনি। রাফিজা খাতুনকে যশোরের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আশরাফুজ্জামান রিপন ও কিডনী রোগবিশেষজ্ঞ ডা. ওবাইদুল কাদীর উজ্জল সহ কয়েজন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানেচিকিৎসা করিয়েছেন অসহায় পরিবারটি।

তারা জানিয়েছেন, রাফিজাকে বাঁচাতে হলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি কিডনি স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে ধুকে ধুকে রাফিজার জীবন প্রদিব নিভে যাবে। ধলদাহ গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল কুদ্দুস বলেন, রাফিজা একজন মেধাবী ছাত্রী। তার পিতা একজন দিনমজুর। সে দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছে। ধীরে ধীরে তার দুটো কিডনি অকেজো হয়ে পড়েছে।

অর্থাভাবে তার চিকিৎসা ব্যবস্থা থমকে গেছে। ফুটফুটে কোমলমতি মেধাবী এই মেয়েটিকে বাঁচাতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। সাহায্য পাঠাতে এবং বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন রাফিজার পিতার এই ০১৯৫...৭১৭৪ মোবাইল নম্বরে। (উক্ত নম্বরটি বিকাশ করা আছে)।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: