ফুলবাড়ীয়ায় প্রবিধান না মেনেই ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৫৬ পিএম

আল-আমিন, ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) থেকে: ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার শিবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবিধান না মেনে নিয়মবহির্ভূতভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ. রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় সুধী ও শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃত্যুর পর গত ২০২০ সালের ১৯ মে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পান বিদ্যালয়ের সহ-প্রধান শিক্ষক আ. রাজ্জাক।

করোনার কারনে দির্ঘদিন বিদ্যালয়ের নিয়মিত কমিটি না থাকায় অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হয়। এমতাবস্থায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল ও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভের আশায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে পকেট ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেছেন। ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পূর্বে প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রিজাইডিংয়ের নির্দেশ মোতাবেক মনোনয়ন পত্র আহবানের লক্ষ্যে শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে পাঠ করে শুনানো ও বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়াসহ একটি অনুলিপি প্রতিষ্ঠানের নথিতে রাখার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি বলে স্থানীয়রা জানান।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সরেজমিন বিদ্যালয় গিয়ে প্রত্যক্ষ করা যায়, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অ্যাডহক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, অভিভাবকসহ সুধীজনরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট গোপনীয়ভাবে ম্যানিজিং কমিটি গঠন প্রসঙ্গে জানতে চায়। তিনি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে আমি অন্যায় করছি। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে গোপনীয়তা রক্ষা করতে হয় তাই সকলকে জানাইনি তবে সকল কিছু প্রসেস করেই কমিটি করছি। এর জবাবে স্থানীয় সুধীজন ভোটার লিস্টের তালিকা, মনোনয়ন আহবানের তারিখ, রেজুলশন, দেখতে চাইলে তিনি তা না দেখানোর অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, আমি সব দেখাবো তবে ১ সপ্তাহ পর।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তাদেরকে তাদের স্যারেরা ম্যানেজিং কমিটি গঠনের ব্যাপারে কোন নোটিশ পড়ে শুনাননি। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ. রাজ্জাক বলেন, এ ইউনিয়নে অনেক স্কুল আছে, সকলে যেভাবে কমিটি করে আমি সেভাবেই করছি। বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ইকবাল হোসেন বলেন, আমি বিদ্যালয়ের উনয়ন কাজে রশিদমূলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা প্রদান করে দাতা সদস্য হয়ছি। ম্যানেজিং কমিটি গঠনে আমাকেও জানায়নি এটি খুবই দুঃখ জনক। আমি এ ঘটনায় মর্মাহত। নিয়মবহির্ভূত কমিটি ভেঙ্গে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা একাডমিক সুপারভাইজার মহসিনা বেগম এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি বিধি মোতাবেক সরেজমিন উপস্থিত থেকে অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতে সিলকশনে নির্বাচনের কাজ সম্পন করছি। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: