প্যানেল মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে থানা ঘেরাও

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর, প্যানেল মেয়র ও শহর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন সাগরের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী সদর থানা ঘেরাও করেছেন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ সদর থানা ঘেরাও করেন পৌর মেয়র হাজী মো. ফয়সাল বিপ্লবসহ কয়েক শতাধিক ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। থানা ঘেরাওয়ের খবর শুনে সদর থানায় ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজুল আবেদিন।

এসময় নেতাকর্মীরা থানা প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে বিভিন্ন প্রকার স্লোগান দিয়ে সাজ্জাত হোসেন সাগরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার দাবি করেন। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলেন, সদর থানা-পুলিশ স্থানীয় প্রভাবশালীদের কথা শুনে প্যানেল মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়েছে। এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক কাজ। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তবে থানা ঘেরাওয়ের বিষয়ে ভিন্ন কথা বলেছেন পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব। তিনি বলেন, আমি নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে থানায় গিয়েছিলাম।

এদিকে, থানায় কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে মেয়রের শুভেচ্ছা বিনিময় নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। থানা ঘেরাওয়ের বিষয় অস্বীকার করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পৌরসভার মেয়র থানায় এসেছিলেন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন সাগরের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি জানার জন্য।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেল, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার আরেক কাউন্সীলর ও প্যানেল মেয়র সোহেল রানা রানু ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল সাত্তার মুন্সি প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে অভিযোগের বাদি অহিদুজ্জামান বাবুল তার বাড়ি পাঁচঘড়িয়া কান্দি গ্রাম থেকে শহরে উদ্দেশে রওনা দিয়ে অ্যাডভোকেট সাজ্জাত বাড়ির সামনে আসলে প্যানেল মেয়র সাজ্জাদ হোসেন সাগর ও তার সাথে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মী বাবুলের পথ গতিরোধ করে তাকে মারধর করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এছাড়া এই প্যানেল মেয়রের বিরুদ্ধে সদর থানায় আরো একটি মামলাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক।