বিদেশে সারকারখানা স্থাপন করতে পারবেন উদ্যোক্তারা, একনেকে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১১:১১ পিএম

জাতীয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে একনেক বৈঠকের বিভিন্ন তথ্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বিদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে সারকারখানা স্থাপন করে উৎপাদিত সার দেশে আনা যাবে। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের এ ধরনের বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে। যেসব দেশে পর্যাপ্ত গ্যাস রয়েছে এবং দরও কম, সেখানে সার উৎপাদনে বিনিয়োগ করা যাবে।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ বিষয়ে আগ্রহ এবং সম্মতির কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, একনেকে ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ প্লান্ট স্থাপন প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় বিদেশে সার কারখানা নির্মাণে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে সম্মতি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত সার দেশে আনা সাশ্রয়ী হবে। চাইলে অন্য দেশেও রপ্তানিও করা যাবে। তবে অগ্রাধিকার দিতে হবে দেশের চাহিদাকে।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পক্ষে বিদেশে বিনিয়োগ করার সুযোগ অবাধ নয়। কেস টু কেস ভিত্তিতে অনেক যাচাই-বাছাই শেষে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ১০ জন উদ্যোক্তা বিদেশে কারখানা করার অনুমতি পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে ওষুধ এবং তৈরি পোশাকই বেশি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশে গ্যাসের সঙ্কট প্রকট। এ কারণে সরকারি আটটি সারকারখানার অনেকগুলোই বন্ধ। সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছে না বাকিগুলো। এ কারণে বছরে ১৭ লাখ টন সার আমদানি করতে হয়। দেশে সারের মোট চাহিদা ২৬ লাখ টন।

এম এ মান্নান আরও জানান, প্রকল্পের ধীরগতি এবং বারবার সংশোধন নিয়ে আবারও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্প সংশোধন মানে ব্যয় বেড়ে যাওয়া। সাধারণত ভূমি বিরোধ, বিদ্যুতের খুঁটিসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সরানোসহ কিছু কারণে সময়মতো নির্মাণকাজ শেষ করা যায় না। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী এবং সচিবদের উদ্দেশে বলেছেন, 'আপনাদের হাতেই তো সব ক্ষমতা। এসব সমস্যা সমাধান করেন।

মঙ্গলবার একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে অর্ধেকই সংশোধিত। ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এর মধ্যে পাঁচটিই সংশোধিত প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ৯টি জেব্রার মৃত্যুর প্রসঙ্গ আনেন। মিডিয়ায় জেব্রার মৃত্যুর সংবাদ দেখে নিজের কষ্টের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নিষ্পাপ এই প্রাণীগুলোর মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়েছেন তিনি। এ সময় সংশ্নিষ্ট সচিব মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ভাইরাসজনিত কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের প্রাণীর সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং সরকারের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: