মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন প্রবাসী মুকুল

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২২, ০৩:২১ পিএম

মোহাম্মদ আবুল বাসার মুকুল একজন দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী। বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায় ইসলামপুর গ্রামে। অর্থনীতিতে অনার্স, মাস্টার্স শেষ করে প্রথমে স্বাস্থ্য সহকারি,সরকারি প্রাইমারি শিক্ষক এবং পরবর্তীতে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই মানবিক কাজ করতে খুবই ভালো বাসেন, চাকরি করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং মানবতার সেবা করা সম্ভব নয় তাই ২০১০ সালে পাড়ি জমাই দক্ষিন কোরিয়ায়। সেখানেই কর্মজীবন গড়েছেন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে একপাশে রেখে মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী খুলনার (নড়াইল) এই সন্তান।

মানুষ ইচ্ছে করলে কি না পারে! সেই ইচ্ছেটাকে পূরণ করতে চাচ্ছেন মানবতার এক হৃদয় বান ব্যক্তি হলো মোহাম্মদ আবুল বাসার মুকুল ।যিনি দূর প্রবাস দক্ষিণ কোরিয়া থেকেও বাংলাদেশের মানুষের জন্য কিনা করতেছেন! তিনি একজন উদ্যোক্তা, তিনি একজন রক্তযোদ্ধা, তিনি একজন মানবতার ফেরিওয়ালা, তিনি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা বাহ! কি নেই তার মধ্যে! এটাই কি সফলতা? হ্যাঁ, এটাই সফলতা। এটাই মানবতা। জন্মের পরই আপনাকে মানুষ হিসাবে পাঠানো হয়েছে, মানবতা রাখবেন কি না রাখবেন সেটার আপনার বিষয়। যার মন ভালো, তার সব ভালো- বলছিলাম মোহাম্মদ আবুল বাসার মুকুল ভাইয়ের কথা।

বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সেসব সংগঠনের মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো যেন নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার। সূদুর দক্ষিণ কোরিয়া বসে প্রতিনিয়ত দুস্থ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন মানবতার এই ফেরিওয়ালা। তার উল্লেখযোগ্য মানবসেবার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীকে রক্তদান, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার প্রদান। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গড়ে তুলেছেন সচেতন ফাউন্ডেশন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সারাদেশ অক্সিজেন হাহাকারে পড়েছিল।

ঠিক সে সময় এই সংগঠনের মাধ্যমে রাত বিরাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে মুমূর্ষু রোগীর দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা৷ শুধু রক্ত কিংবা অক্সিজেন সেবাই নয়, করনাকালীন মোহাম্মদ আবুল বাসার মুকুলের উদ্যোগে এবং সচেতন ফাউন্ডেশন মাধ্যমে অসহায় অসচ্ছল মানুষদের খাদ্য, ওষুধ এবং নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন। তার এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তার সঙ্গে একঝাঁক তরুণ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সচেতন ফাউন্ডেশন হয়ে। এতিমখানার শিশুদের নিয়েও কাজ করছেন এম এ মুকুল। খুলনা, নড়াইলসহ সারাদেশে বেশ কয়েকটি এতিমখানার শিশুদের জন্য খাবার আয়োজনসহ অসচ্ছল এতিমখানার এতিম শিশুদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগান দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

মানবতা’ফেসবুক এর স্ট্যাটাস কিংবা স্টোরি এর চেয়ে অনেক বড় কিছু। পৃথিবীকে মানবতার দোলনা বলা হয়। তবে মানুষ সারাজীবন এই দোলনায় থাকতে পারে না।কেননা একটা সময় তার ভিতর মানবতার অভাব দেখা যায়। মোহাম্মদ আবুল বাসার মুকুল ভাই কি পারবে সেটা ধরে রাখতে!

ব্যক্তিগত তহবিল এবং সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের সহায়তায় এসব এতিমদের পাশে দাঁড়ান মোহাম্মদ আবুল বাসার মুকুল।এসব কিছুর বাইরেও সমাজের অসহায়দের আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তিনি। অসচ্ছল বাবাদের মেয়ে বিয়ে দেওয়াসহ হেন কোনো কাজ নেই যেটা মানুষের জন্য করছেন না তিনি। শুধু খুলনা কিংবা এর আশেপাশে নয় বরং তার এই সামাজিক কর্মকাণ্ড দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে সমাজের বিত্তবানদের তার সাথে কাঁধে কাঁধ মেলানোর জন্য অনুরোধ মোহাম্মদ আবুল বাসার মুকুলের। যতদিন বেঁচে থাকবেন যেন মানবসেবার এই দৃষ্টান্ত ধরে রাখতে পারেন সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: