ড্রোন, জাহাজ ও জলজ সংকেত তৈরি করে বাজিমাৎ

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২২, ০৫:১৯ পিএম

সাগর বেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী কালারমারছড়া ইউনিয়নের পূর্ব আঁধার ঘোনা গ্রামের সিরাজুল মোস্তাফা আপেল। পড়াশোনা করছেন ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। বয়সে মাত্র ১৬ বছরের হলেও এ তরুণ নিজের ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করেছেন অত্যাধুনিক ফায়ার নির্বাপক ড্রোন, বঙ্গবন্ধু ডিটিএমএফ ও জলজ সংকেত এবং ডিজেল ইঞ্জিন ধারা চতুর্ঘাত জাহাজ সঞ্চলনের মতো ছোট ছোট দর্শনীয় প্রকল্প।

তার এ সফলতার জন্য প্রসংশার খ্যাতি খুড়িয়েছেন এলাকাবাসীর মাঝেও। সরকারি সহায়তায় সুযোগ পেলে ভবিষ্যৎ উজ্বল সম্ভবনা দেখছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী। সচরাচর বাংলাদেশের কোথাও অগ্নিকাণ্ড হলে দেশিয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনগুলোতে সর্বোচ্চ ৫০ তলা ভবনের ত্রিশ থেকে চল্লিশ তলা পর্যন্ত আগুন নেভানোর যন্ত্র থাকলেও সিরাজুল মোস্তাফা আপেল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সাথে তাল মিলিয়ে তৈরি করেছেন সর্বোচ্চ ১০০ তলা পর্যন্ত আগুন নেভানোর যন্ত্র।

এছাড়াও তার এ প্রকল্পের একই স্টেশনে থাকবে ফায়ার নির্বাপক ড্রোনও। এটি ছাড়াও দেশে ২ ঘাত বিশিষ্ট ইঞ্জিনের জাহাজ থাকলেও আপেলের অপর একটি প্রকল্পে থাকছে চতুর্ঘাত ইঞ্জিন ধারা তৈরিকৃত জাহাজও। সিরাজুল মোস্তাফা আপেল জানান, 'পরিকল্পনা রয়েছে আগামিতে রাস্তার গাড়ি রোধক নিয়ে আধুনিক প্রকল্প নিয়ে একটি প্রজেক্ট তৈরি করবেন, এবং ইতোমধ্যে সেটি নিয়ে গবেষণাও শুরু করেছেন তিনি।

আপেল জানান - পারিবারিক সমর্থন না পেলে এতদূর আসা সম্ভব হত না। বিশেষ করে বড় বোন রোকসানা আকতার ও পিতা বেলাল হোসেনের কথা অনস্বীকার্য। সরকার তার পাশে দাড়ালে বড় কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান আপেল।

পঞ্চম শ্রেনী থেকে প্রযুক্তির প্রতি দূর্বল এ গবেষণাধর্মী ছাত্র এখন স্বপ্ন দেখছেন বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের, প্রয়োজন শুধু সরকারি সহায়তা। আপেলের উজ্বল ভবিষ্যৎ দেখছেন তার পরিবারসহ এলাকাবাসীরাও। অল্প বয়সে তার এ বাজিমাৎকে স্বাগত জানিয়ে সিরাজুল মোস্তাফা আপেলকে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করতে গত ২৬ মার্চ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আপেলের তৈরিকৃত প্রকল্পগুলো নিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রদর্শনীর আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল হাই ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াছিন-সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতারা। এসব বিষয় নিয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াছিন জানান, আপেল ছোট মানুষ হয়ে বড় কাজ করার স্বপ্ন দেখছেন, এতে সব সময় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা থাকবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: