গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনামে শিক্ষকতা ও ইমামতি করেন জঙ্গি শফিকুর

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২২, ০৫:২৯ পিএম

দুই দশক আগে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি শফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনামে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতি করে আসছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। তিনি নাম পাল্টে হন আব্দুল করিম। শুক্রবার (১৫এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। আগের দিন বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর আজ সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব।

খন্দকার আল মঈন বলেন, শফিকুর নাম পাল্টে হন আব্দুল করিম। নরসিংদীর বিভিন্ন মাদ্রাসায় এ নামে শিক্ষকতা করেন। ছদ্মনামেই ওই এলাকার একটি মসজিদে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনে ইমামতি করতেন।

তিনি বলেন, রমনা বটমূলে হামলার পর ২০০৮ সাল পর্যন্ত আত্মগোপনে থেকে সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। ২০০৮ থেকে নরসিংদীতে একটি মাদ্রাসায় কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় শফিকুরের সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে কমান্ডার মঈন বলেন, ২০০১ সালে রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর থানাধীন বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় তিনি ‘সম্পৃক্ত ছিলেন’। বৈদ্যের বাজারে হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত এবং কমপক্ষে শতাধিক আহত হন।

র‌্যাব জানায়, শফিকুর কিশোরগঞ্জে নিজের গ্রাম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে মাদ্রাসায় পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে ঢাকার চকবাজারের একটি মাদ্রাসা থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত পড়ালেখা করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: