সুন্দরীর প্রেমে হাবুডুবু, খেসারত দিলেন চেয়ারম্যান

সিদ্দিক আলম দয়াল, গাইবান্ধা থেকে: এক সুন্দরী নারীর প্রেমে হাবুডুবু ও গ্যাঁড়াকলে পড়ে ১০ লাখ টাকা খোয়া গেছে গাইবান্ধা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা থানায় ওই প্রতারক নারী মৌসুমী আকতার মিষ্টির বিরুদ্ধে গাইবান্ধা থানায় মামলা করা হয়েছে। ইতিপূর্বেও তিনি পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিক সহ একাধিক ব্যক্তিকেও ঘায়েল করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ওই মৌসুমী আকতার মিষ্টির বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বাদিনার পাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম মোজাফ্ফর হোসেন। সুন্দরী বলে অনেক টাকায় দেন মোহর দিয়ে বিয়ে করেন পুলিশের এসআই কোরবান আলী। তুচ্ছ ঘটনায় তাদের সংসার ভেঙে যায়। মৌসুমী আকতার তার স্বামীর কাছে যৌতুক সহ দেন মোহরের দাবি করে মামলা করেন।
পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা কোরবান আলী মৌসুমীকে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান। এরপর এক সাংবাদিকের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের দু’টি সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সাংসারিক জীবনে তাদের বনিবনা না হওয়ায় সাংবাদিকও তাকে তালাক দেন। কিন্তু নাছোড়বান্দা সুন্দরী রমণী তার স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন। জামিন নিতে গিয়ে সেই সাংবাদিককে দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হয়। এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাপা নেতা আতাউর রহমান আতার ঘাড়ে। চেহারা দেখে ভুলে যান আগপাস। দু’জনের মধ্যে জমে ওঠে প্রেম। দু’জনে মিলে গোপনে আরাবি ফ্যাশন হাউস নামের একটি দোকান খোলেন সিনেমা সড়কের একটি বিপণি কেন্দ্রে। জেপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ওই নারী তার কাছ থেকে ২০২০ সালের ২৪শে ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ক্ষমতাচ্যুত হলে তার প্রেমে ভাটা পড়ে। একদিন গিয়ে দেখেন ফ্যাশন হাউসটিও নেই। গায়েব হয়ে গেছেন সুন্দরী মৌসুমী সহ তার ফ্যাশন হাউস। এ ঘটনায় গাইবান্ধার সদ্যপদচ্যুত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা গাইবান্ধা থানায় গত ১৪ই এপ্রিল ওই মৌসুমী আকতার মিষ্টির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ।
এ ব্যাপারে আতাউর রহমান আতা বলেন, আমি তার ব্যবসায়িক পার্টনার হতে তাকে টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু টাকা নিয়ে এখন তিনি গায়েব। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, ওই মহিলা মামলাবাজ। তিনি ব্যবসার আড়ালে মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করতেন। খুব শিগগির তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। সুত্র: দৈনিক মানবজমিন (২০ এপ্রিল ২০২২ শেষে পাতায় প্রকাশিত)
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: